শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে সাম্প্রদায়িকতা রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে সাম্প্রদায়িকতা রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

শোকাবহ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ। একাত্তরে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের শেষপ্রান্তে যখন বিজয় আসি আসি করছে বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের খবরে উত্তাল পুরো দেশ, ঠিক সে সময়ে আসে একটি বেদনাঘন সংবাদ। হেমন্তের স্নিগ্ধ সকালে খবর আসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিধনের। স্বাধীনতার ঊষালগ্নে দুঃখের সাগরে ভেসে যায় মুক্তিযোদ্ধাদের কষ্টস্নাত অর্জন। জাতিকে মেধাশূন্য করতে ১৪ ডিসেম্বর বর্বর পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর নরঘাতক আলবদর বাহিনী মেতে ওঠে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিধনযজ্ঞে। এই দিন ঘাতকচক্র ঢাকা শহরে বিশিষ্ট শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিল্পী, সাহিত্যিক, সংস্কৃতিসেবী ও পদস্থ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ বুদ্ধিজীবী এবং বিভিন্ন পেশার কৃতী সন্তানদের অপহরণ করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত স্থানে। পরবর্তী সময়ে মিরপুরের ডোবা-নালা ও রায়েরবাজারের ইটভাঁটায় বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায় বুলেটবিদ্ধ তাদের নিথর দেহ, পেছনে হাত বাঁধা, ক্ষতচিহ্ন শরীরজুড়ে। জাতি হারায় তার অসংখ্য মেধাবী সন্তানকে। এত কম সময়ে এত বেশিসংখ্যক বুদ্ধিজীবী হত্যার উদাহরণ দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধ ছাড়া আর কখনও ঘটেনি।

পাকিস্তানি দুঃশাসনের দিনগুলোয় আমাদের লেখক, সাংবাদিক, শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীরা বিবেকের কণ্ঠস্বর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। নিজেদের জ্ঞান-মনীষা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে জাতিকে পথ দেখিয়েছেন ও আলোকিত করেছেন। এসব কারণেই তারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের জিঘাংসার শিকার হয়েছেন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িত কয়েকজন শীর্ষ অপরাধীর বিচার ও শাস্তি কার্যকর হয়েছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশ বেরিয়ে আসতে পেরেছে। এটি জাতির জন্য স্বস্তিকর। কিন্তু অস্বস্তির বিষয় হলো, আদালতের রায়ে সর্বোচ্চ শাস্তিপ্রাপ্ত বিদেশে পলাতক আলবদর কমান্ডার চৌধুরী মঈনদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানকে আমরা দেশে ফিরিয়ে আনতে পারিনি। তারা বুদ্ধিজীবী হত্যার মূল হোতা। এ বিষয়টি আদালতের রায়েও বেরিয়ে এসেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দুজনের ফাঁসি কার্যকর করার রায় দিয়েছেন। রায়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তার পর্যবেক্ষণে এই দুই ঘাতকের নৃশংসতার যে চিত্র তুলে ধরেছেন, তাতে গা শিউরে ওঠে। আশরাফুজ্জামান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ও চৌধুরী মঈনদ্দীন যুক্তরাজ্যে বাস করছে। এই দুই খুনিকে ফিরিয়ে এনে দ্রুত বিচারের রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন শহীদ পরিবারের সন্তান ও মুক্তিযোদ্ধারা।

একাত্তরের ডিসেম্বরে হত্যাযজ্ঞের শিকার শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রকৃত সংখ্যা এখনও নিরূপণ করা হয়নি। প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বাংলাপিডিয়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের যে সংখ্যা দাঁড় করানো হয়েছে, সে অনুযায়ী একাত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ছিলেন ৯৯১ জন শিক্ষাবিদ, ১৩ জন সাংবাদিক, ৪৯ জন চিকিৎসক, ৪২ জন আইনজীবী এবং ১৬ জন শিল্পী-সাহিত্যিক ও প্রকৌশলী। এদের মধ্যে ছিলেন ড. জিসি দেব, অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য, ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. আলীম চৌধুরী, ড. গোলাম মোর্তজা, ড. মোহাম্মদ শফি, শহীদুল্লা কায়সার, সিরাজউদ্দিন হোসেন, নিজামুদ্দিন আহমদ, খন্দকার আবু তালেব, আ ন ম গোলাম মোস্তফা, শহীদ সাবের, নাজমুল হক, আলতাফ মাহমুদ, আরপি সাহা, আবুল খায়ের, রশীদুল হাসান, সিরাজুল হক খান, আবুল বাশার, ড. মুক্তাদির, ফজলুল মাহী, ড. সাদেক, ড. আমিনুদ্দিন, সায়ীদুল হাসান, হাবিবুর রহমান, মেহেরুন্নেসা, সেলিনা পারভীনসহ অনেকে।

যথাযোগ্য মর্যাদা ও শোকের আবহে আজ পালিত হবে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। তবে বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে এবার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সীমিত আকারে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, আলোচনা সভা, গান, আবৃত্তি, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের পৃথক বাণী দিয়েছেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন পূরণে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার ডাক এসেছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের প্রাক্কালে। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সোমবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করতে যাচ্ছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে থাকা বাংলাদেশ। আজ ভোর হলেই শোকার্ত কাফেলা যাবে ঢাকার মিরপুর ও রায়েরবাজারের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে। ফুলেল শ্রদ্ধায়, গান-কবিতা আর শপথে স্মরণ করা হবে একাত্তরের সূর্য সন্তানদের।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনের মধ্যে যখন তার ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা হয় ইসলামী দলগুলোর পক্ষ থেকে, তখন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মুক্তিযুদ্ধে চেতনায় অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার সংগ্রামের কথা নতুন করে এসেছে।

দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি বলেন, তা গড়তে পারলেই বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।

এদেশের স্বাধীনতাবিরোধীদের সহযোগিতায় মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডকে স্বাধীনতার ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায় বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে জাতিকে মেধাশূন্য করার হীন উদ্দেশ্যে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার-আলবদর-আল শামস বাহিনীর সহযোগিতায় ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পীসহ বহু গুণীজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। জাতি হারায় তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।

স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখনও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে বলে দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বাণীতে বলেন, “একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর যারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল, তারাই পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্যে দিয়ে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে।

“তারা স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসকে বিকৃত করে। দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের জন্ম দেয়। সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেয়। খুন-হত্যা-ধর্ষণ-নির্যাতন চালায়। মুক্তমনা, শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালায়। এই সন্ত্রাসী-জঙ্গিগোষ্ঠী ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দেশে সন্ত্রাস ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।” বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী যুদ্ধাপরাধীদের যারা রক্ষার চেষ্টা করেছে তাদেরও বিচারের কাঠগড়ায় আনা হবে বলে জানান শেখ হাসিনা।

“২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় এনেছে। বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে। এই কুখ্যাত মানবতাবিরোধীদের যারা রক্ষার চেষ্টা করছে, তাদেরও একদিন বিচার হবে।”

সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বাণীতে বলেন, “বলার অপেক্ষা রাখে না যে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া শহীদ বুদ্ধিজীবীরা তাদের মেধা,সৃজনশীলতা, জ্ঞান ও দক্ষতা দ্বারা স্বাধীন বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারতেন।কিন্তু ঘাতকের নির্মমতায় তারা সেটি পারেননি।

“শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ তখনই স্বার্থক হবে ,যখন আমরা তাঁদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে পারব।  সকলেই মিলেমিশে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে একসাথে কাজ করে যাব।”

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিএনপির এক বার্তায় বলা হয়, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা একটি ন্যায়ভিত্তিক, শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু তা এখন নির্বাসনে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন পূরণে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সার্বজনীন অধিকার, সেটি সমুন্নত রাখতে আমাদের মিলিত শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।”

একাত্তরের ডিসেম্বরের মধ্যভাগে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয় যখন অনিবার্য; তখন এদেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি বাহিনী হত্যা করে বাংলাদেশের প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবীদের, যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দেওয়া।

প্রায় অর্ধ শতক পর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে এক হাজার ২২২ জনের একটি তালিকা করেছে সরকার।

এবার করোনাভাইরাস মহামারীর প্রেক্ষাপটে সব আয়োজনই সঙ্কুচিত হয়েছে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর্বেও স্বাস্থ্য সচেতনতার দিকটি বিবেচনায় রাখতে অনুরোধ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী সোমবার সকাল ৭টা ১০ মিনিটে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সোমবার সারা দিন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে, বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী সংগঠনের কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ রাখবে।

সকাল ৯টায় আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতারা শ্রদ্ধা জানাবেন মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে। সকাল সাড়ে ৯টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করবেন। পরে তারা যাবেন রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধে, সেখানে তারা শ্রদ্ধা জানাবেন সকাল ১০টায়।

জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার সকাল ৯টায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানাবেন। এ সময় দলের শীর্ষ নেতারা তার সঙ্গে থাকবেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে উপলক্ষে বিএনপি সকাল ৯টায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানাবেন। এদিন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাসদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের কার্যালয়ে সোমবার ভোর ৬টায় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে।

সকাল ৯টায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা শ্রদ্ধা জানাবেন মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে।

শিল্পকলা একাডেমি রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধে কবি কণ্ঠে কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হবে সোমবার রাত ৮টায়। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করবেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী।

সম্প্রতি প্রয়াত মুক্তিযুদ্ধের গবেষক বাংলা একাডেমি থেকে তের খন্ডে প্রকাশিত স্মৃতি ‘৭১ গ্রন্থের সম্পাদক রশীদ হায়দার স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করবেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সদস্য শেখ সালমা নার্গিস, সৈয়দা সালমা হক ও রশীদ হায়দারের কন্যা শাওন্তী হায়দার।

বাংলা একাডেমি জানিয়েছে, সোমবার সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী সমাধিস্থলে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে তারা।