সীতাকুণ্ডে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতের খুঁটিতে যুবক, আজানের আওয়াজ শুনে নামলেন

সীতাকুণ্ডে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতের খুঁটিতে যুবক, আজানের আওয়াজ শুনে নামলেন
সীতাকুণ্ডে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতের খুঁটিতে যুবক, আজান শুনে নামলেন

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ।।

সীতাকুণ্ডে ১ লাখ ৩৩ হাজার ভোল্টের ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে পড়ে মো.নাছির উদ্দিন (২৮) নামে এক যুবক। নানা কৌশলে তাকে নামানোর চেষ্টা করছিলেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। কিন্তু কারো কথায় নামানো যাচ্ছিলো না তাকে। পরে স্থানীয়দের পরামর্শে আযান দিতে থাকেন এক মুয়াজ্জিন। আযান শুনতে শুনতে নেমে আসেন ওই যুবক।

বৃহস্পতিবার বিকালে ভাটিয়ারীর বিএসবি হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নাসির উদ্দিন নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার ইয়ারপুর এলাকার বদি মিয়ার বাড়ির মো.সিরাজ বাবুর্চির ছেলে। বর্তমানে ভাটিয়ারি ইউনিয়নের জঙ্গল ভাটিয়ারি এলাকায় ঠিকানা বিহীন যাযাবর হিসেবে রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে ১ লাখ ৩৩ হাজার ভোল্টের প্রায় ২শত ফুট উঁচু বিদ্যুতের পিলারের উপর নাসিরকে দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পিলারটির নিচে কাটা তার দিয়ে ঘেরা ছিল। পরে তারা জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দেয়। সেখান থেকে কল পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার লিড়ার কাজী মো. নোমানের নেতৃত্বে একটি দল। একই সময় ঘটনাস্থলে হাজির হন ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির এস.আই পার্থ সারর্থীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। এ সময় আইন-শৃঙ্গলা বাহিনী বিভিন্ন কৌশলে তাকে নামিয়ে আনার চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু নাসির কারো কথা শুনছিলেন না। পরে স্থানীয়দের পরামর্শে একজন মুয়াজ্জিন দিয়ে পিলারের নিচে আযান দিতে থাকেন। ৮ হতে ১০বার আযান দেওয়ার পর নাসির নিজে থেকে নিচে নেমে আসেন। নামার পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। পরে মাথায় ও মুখে পানি দিলে তার জ্ঞান ফিরে আসে। জ্ঞান ফিরে পেয়ে জ্বীন তাকে পিলারের উপর তুলেছে বলে তিনি দাবি করেন। এছাড়াও সৎ মায়ের বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে আজকে তিনি যাযাবর ও মানসিক রোগে ভুগছেন বলেও জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার নাজমুল আহসান বলেন, ‘প্রায় আড়াই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর অজ্ঞান হয়ে পড়লেও মাথায় ও মুখে পানি দেওয়ার পর জ্ঞান ফিরে আসে। গত এক মাসের মাথায় নাছির তিনবার ১ লাখ ৩২ হাজার ভোল্টের পিলারে উঠে পড়েছিল। আমারা এই নাসিরকে নিয়ে মহা বিপদে রয়েছি।’ফৌজদারহাট পুলিশ ফাড়িঁর এসআই পার্থ সারথী সাহাও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;