সীতাকুণ্ডে গভীর রাতে শিপইয়ার্ড থেকে স্ক্র্যাপ চুরি,আহত ২

সীতাকুণ্ডে গভীর রাতে শিপইয়ার্ড থেকে স্ক্র্যাপ চুরি,আহত ২

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি।।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুল আরেফিন শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে শুক্রবার গভীর রাতে স্ক্র্যাপ লোহা লুট করার সময় বাধা পেয়ে সিকিউরিটি ইনচার্জসহ দুই জনকে গুরুতর আহত করেছে লুটকারীরা। পরে তারা প্রায় আড়াই লাখ টাকার স্ক্র্যাপ লোহা ও তামা-পিতল লুট করে নিয়ে যায় ।

এ ঘটনায় আজ শনিবার দুপুরে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাত আনুমানিক ৩টার দিকে উপজেলার কদমরসুল সাগর উপকূলে অবস্থিত আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন আহমেদের মালিকানাধীন আরেফিন এন্টার প্রাইজ শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে ১৫-২০ জন লোহা চোর ইঞ্জিন চালিত নৌকা যোগে হানা দিয়ে স্ক্র্যাপ লোহা, মূল্যবান তামা-পিতল লুট করতে শুরু করে। এসময় ইয়ার্ডের সিকিউরিটি ইনচার্জ মোহাম্মদ আরিফ হোসেন (৩০) ও রেজাউল করিম (৪০) ঘটনাস্থলে এসে চোরদের প্রতিরোধের চেষ্ঠা করলে চোরেরা কিরিচ দিয়ে তাদের কুপিয়ে জখম করে প্রায় আড়াই লাখ টাকা মূল্যের মালামাল লুটে নেয়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গেলে আরিফ হোসেনের একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে ইয়ার্ডের অপর সিকিউরিটি ইনচার্জ মি. মাইকেল বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় একটি হত্যা প্রচেষ্টা ও চুরির মামলা দায়ের করেন। এতে স্থানীয় ফারুক (২৭), নজরুল (২৮), আলাউদ্দিন (২২), সাহাবউদ্দিন (২৬), ইলিয়াছ (২৮), ইউসুফ সওদাগর (৪৫), রণি জলদাশ (২৪), মোজাম্মেল (৩৫) ও মঞ্জু (৩২)সহ অজ্ঞাত ১০জনকে আসামি করা হয়েছে।

আরেফিন শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের মালিক কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, শিপইয়ার্ডকে ঘিরে সংঘবদ্ধ লোহা চোর চক্র সবসময় সক্রিয় আছে। কিন্তু এসব চোরদের দৃষ্টান্তমূলক কোন সাজা না হওয়ায় তারা বারবার ইয়ার্ডগুলোতে হানা দিয়ে মালামাল চুরি করছে। অতীতে তারা খুনের ঘটনা পর্যন্ত ঘটিয়েছে।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, চোর চক্রটির হামলায় এক সিকিউরিটি ইনচার্জের চোখ নস্ট হয়ে গেছে অপর জনও অশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।