সীতাকুণ্ডে দুর্গোৎসবের আয়োজন চলছে ৬১ পুজামণ্ডপে , নিরাপত্তায় ৬শ কর্মী

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

সীতাকুণ্ডে দুর্গোৎসবের আয়োজন চলছে ৬১ পুজামণ্ডপে ,  নিরাপত্তায় ৬শ কর্মী

সীতাকুন্ডে দূর্গোৎসবকে ঘিরে সনাতনী সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে ইতিমধ্যে আনন্দের জোয়ার বইতে শুরু করেছে। 

সীতাকুণ্ড উপজেলায় ৬১টি পূজামন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তন্মধ্যে সীতাকুণ্ড পৌর সদরে ১০টি, সৈয়দপুর ইউনিয়নে ৬টি, বারৈয়াঢালা ইউনিয়নে ৬টি, মুরাদপুরে ৪টি, বাড়বকুণ্ডে ৬টি, বাঁশবাড়িয়ায় ৩টি, কুমিরায় ৭টি, সোনাইছড়ি ৬টি, ভাটিয়ারীতে ৭টি এবং সলিমপুরে ৪টি মন্ডপে পূজা হবে। প্রতিটি পূজামন্ডপকে সাজ-সজ্জার কাজ প্রায় শেষ। কাল ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয়া দুর্গোৎসব। হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে সরকার এবার ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা এবার সীতাকুণ্ডের ২৮টি পূজামন্ডপকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সীতাকুণ্ডের প্রত্যেক পূজামন্ডপের জন্য সরকার কর্তৃক ৫০ কেজি চাউল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদ্‌যাপন করার লক্ষ্যে সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পূজা মন্ডপগুলোর সমন্বয়ে এক সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়ের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- পরিষদের উপদেষ্টা অধ্যাপক সুনিল বন্ধু নাথ, ডা. অমরেন্দ্র ভট্টাচার্য, প্রদীপ ভট্টাচার্য, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ও পৌর কাউন্সিলর সুনিল বন্ধ নাথ, সদস্য সচিব তপন চক্রবর্তী, সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুরী, পরিষদের সাবেক সভাপতি রনজিত সাহা, সাবেক সম্পাদক স্বপন কুমার বণিক, পৌরসভা কমিটির সভাপতি গৌতম অধিকারী, পরিষদের সদস্য দুলাল চন্দ্র দে, আশীষ শর্মা, স্বপন নাথ, সুব্রত রায়, সুজিত পাল প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, ধর্ম যার যার দেশ সবার, প্রতিটি ধর্মের লোকজন তাদের ধর্ম পালনে অধিকার রয়েছে। এতে কেউ বিশৃংখলা সৃষ্টি করলে কঠোর হাতে দমন করতে হবে। প্রতিটি মন্ডবে প্রায় ১০জন করে নিরাপত্তাকর্মী কাজ করবে। পুরো উপজেলায় মোট ৬’শ কর্মী নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত থাকবে। সভায় নিরাপত্তার স্বার্থে বড় বড় প্রতিটি পূজা মন্ডপে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন, মেটাল ডিটেক্টর যন্ত্র, ফায়ার ফাইটিং যন্ত্র ও জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখার জন্য নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
জানা যায়, প্রতিটি পূজা মন্ডপে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ এসব মন্ডপের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করছে। পরিষদের আহ্বায়ক হারাধন চৌধুরী বাবু জানান, আনন্দ উদ্দীপনার মধ্যে শারদীয়া দুর্গোৎসব পালনের জন্য প্রত্যেক পূজামন্ডপে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। সীতাকুণ্ডে প্রতিমা তৈরিসহ সব মিলিয়ে এবার প্রতিটি পূজামন্ডপে খরচ ৫ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
আমরা আশা করছি কোনো অঘটন ছাড়াই পূজা সম্পন্ন হবে। সীতাকুণ্ড মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলওয়ার হোসেন জানান, শারদীয় দূর্গাপূজা উদ্‌যাপনকালে সীতাকুণ্ডের ৬১টি পূজামন্ডপে মাদক, ছিনতাই এবং ইভটিজিং প্রতিরোধে পুলিশি অভিযান জোরদার, টহল বৃদ্ধির পাশপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।