সীতাকুণ্ডে যত্রতত্র অনুমোদনহীন করাতকল

সীতাকুণ্ডে যত্রতত্র অনুমোদনহীন করাতকল
সীতাকুণ্ডে যত্রতত্র অনুমোদনহীন করাতকল

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ।।

নামে-বেনামে সীতাকুণ্ডে প্রায় ১০০টি করাতকল গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে মাত্র ১৬ টির লাইসেন্স থাকলেও বাকিগুলোর নেই কোনো অনুমোদন। অন্যদিকে বনাঞ্চলে অবৈধ করাতকলের ছড়াছড়ির কারণে স্থানীয় অসাধু চক্রের কবলে প্রতিনিয়ত উজাড় হচ্ছে বন। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের তেমন কোন ভূমিকা চোখে পড়েনি। সচেতন মহলের দাবি এসব করাতকলের বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না গেলে সমাজের বনাঞ্চলে ভয়াবহ পরিণতি নেমে আসবে।

জানা গেছে, সীতাকুণ্ড উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে রয়েছে সরকারের সংরক্ষিত, রক্ষিত ও অর্পিত বিশাল বনাঞ্চল। সরকারের আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত, রক্ষিত ও অর্পিত বা অন্য যেকোনো ধরনের সরকারি বনভূমির সীমানা থেকে নিম্নতম প্রায় ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল ব্যবস্থাপনা করা যাবে না। এর বাইরে অথবা ভেতরে করাতকল ব্যবস্থাপনার আগে সরকারি অনুমোদন নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি পেতে হয়।

সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টার আগে বা পরে কোনো করাতকল পরিচালনা করা যাবে না। এসব বিধান লঙ্ঘন করলে যথাযর্থ আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী করাতকল ব্যবস্থাপনের জন্য লাইসেন্স বাধ্যতামূলক হলে ও কেউ মানছেন না সেই নিয়মনীতি।

সীতাকুণ্ড পৌরসভার বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া বলেন, পৌরসভার ভিতরে মাত্র ১৬ টির লাইসেন্স রয়েছে। তবে করাতকল মালিকদের অনেকের অভিযোগ আবেদন করেও বছরের পর বছর ধরে লাইসেন্স পাচ্ছেন না তারা। লাইসেন্সবিহীন করাতকলের মালিক মো. হারুন হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি লাইসেন্সের জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছি ২ বছর আগে কিন্তু এখনো পর্যন্ত লাইসেন্স পাইনি।

সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, সীতাকুণ্ড উপজেলা বন বিভাগ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে খুব শিগ্‌গিরই অবৈধ ও লাইসেন্সবিহীন করাতকল মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।