সীতাকুণ্ড যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ১ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

সীতাকুণ্ড যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ১ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

আজ সীতাকুণ্ডের অন্যতম সামাজিক ও যুব সংগঠন সীতাকুণ্ড যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।২০১৯ সালের এই দিনে দক্ষ যুব শক্তি গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে "সবাই মিলে কাজ করি,সমৃদ্ধ দেশ গড়ি" এই স্লোগানকে মুখ্য করে একদল মেধাবী তরুণ/তরুণীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় সীতাকুণ্ড যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন। শুরুটা হয়েছিল তিনজনের উদ্যোগে।আর উদ্যোগে সাড়া দিয়ে প্রায় সায়ত্রিশ জন যুবক এই সংগঠনে সামিল হয়।একমত পোষণ করে সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে। সংগঠনের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সীতাকুণ্ড রেলওয়ে ঢেবার পশ্চিম পাড়ে।সংগঠনের নাম প্রস্তাব করেন উদ্যোক্তা এম কে মনির।ঠিক হয় লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। নির্ধারণ করা হয় স্লোগান ও লগো।এরপর কমিটি গঠন,গঠনতন্ত্র, কর্মপদ্ধতি সবকিছু ঠিক করা হয় অফিস ভাড়া থেকে শুরু করে, ব্যাংক একাউন্ট,উপদেষ্টা নিয়োগ,সদস্য শপথ,যুব প্রশিক্ষণ,পর্যায়ক্রমে সদস্যদের সরকারি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।সীতাকুণ্ড যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রথম কর্মসূচী ছিলো শিক্ষা প্রতিষ্টানে বৃক্ষরোপণ।এরপর সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের মানববন্ধন কর্মসূচি, ফান্ড ফর জোবেদা খানম,ফান্ড ফর জসি,শিক্ষা উপকরণ বিতরণ,শীতবস্ত্র বিতরণ, দিবসসমূহ পালন,বিভিন্ন স্বাস্থ্য ক্যাম্পে যোগদান,অন্যান্য সামাজিক সংগঠনের অনুষ্ঠানে সহযোগিতা, বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি উন্নয়নে প্রতিনিধিত্ব, কৃতিসন্তান সংবর্ধনা,শুভেচ্ছা, বনভোজন,সামাজিক নাটক,সদস্যদের সুখে দুঃখে অংশিদার সহ নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে সীতাকুণ্ড যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন হয়ে উঠে একটি তারুণ্যদীপ্ত ও প্রাণ চঞ্চল সংগঠন।এর মাঝেই সীতাকুণ্ড যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন সরকারি নিবন্ধন অর্জন করতে সক্ষম হয়।আজ ১ বছরে পদার্পন করলো সংগঠনটি।একবছরে সংগঠনের কার্যক্রম ও পরিকল্পনা নিয়ে কথা হয় মূল  উদ্যোক্তা এম কে মনিরের সাথে। 

তিনি জানান ২০১৯ সালের এই দিনে আমাদের মূল যাত্রা। যদিও সংগঠন গঠনের প্রস্তুুতি তারও আগে।আমি শুরুতে একটি যুব সংগঠন করার কথা ভাবছিলাম।বিষয়টি বন্ধু জয়নাল ও আলাউদ্দিনের সাথে আলোচনা করলাম।তারাও সাই দিলো।শুরু করলাম ফেসবুক প্রচারণা।অনেকের সাথে কথা বললাম সরাসরি। আমাদের পরিচিত অনেকেই সংগঠনে যোগ দিতে রাজি হলো।তাদের সকলকে নিয়ে সীতাকুণ্ড ঢেবার পাড়ে একটা গোল বৈঠক করলাম।সবার মতামত নিলাম।নামটা আমি প্রস্তাব করেছিলাম।সবার পছন্দ হলো।এরপর ভোটিং পদ্ধতিতে কমিটি গঠন করা হলো। সকলে আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করলো।আস্তে আস্তে সংগঠন এগিয়ে যাচ্ছে।সুখ,দুঃখ দুটোয় ছিলো সংগঠনে।বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল আমাদের। কিন্তুু সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে সেই বাঁধা উপেক্ষা করে আমরা তরুণরা এগিয়ে গিয়েছি সামনে।এক বছরে খুব বেশি কিছু করতে পারিনি তবে কিছুটা চেষ্টা করেছি মাত্র। সামনে পরিকল্পনার আলোকে এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা করছি।

তিনি জানান আমরা মূলত যুব উন্নয়ন মূলক সংগঠন। যুবদের উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য।যুবদের মাদক থেকে দূরে রাখা, অন্যায় কাজে অনুৎসাহিত করা,প্রশিক্ষণ দেওয়া,আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তোলা, যুবদের উদ্যোগ বাস্তবায়নে সহায়তা করা এবং তা তদারকি করাই আমাদের মূল কাজ।তাই ভবিষ্যতে যুব উন্নয়ন মূলক কাজের পরিকল্পনা চলছে।সমাজের যুবদের উন্নয়ন হলেই দেশের উন্নয়ন। যুবরাই পারে দেশটাকে বদলে দিতে।

এক বছরে পদার্পন উপলক্ষে আয়োজন কি জানতে চাইলে তিনি বলেন বর্ষপূর্তি উদযাপন তেমন বড়ভাবে করার কথা না ভাবলেও ছোটখাট একটা ইফতার মাহফিলের আয়োজনের কথা আলোচনায় ছিলো।তবে চলমান পরিস্থিতিতে সেটা হয়ে উঠেনি।তাই স্বল্প পরিসরে সমাজের দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি।আজ আমরা কিছু ইফতার সামগ্রী বিতরণ করবো। 

সংগঠনের সফলতায় তিনি সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।

প্রতিষ্টাবার্ষিকীতে সিনিয়র সহ সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন হাঁটি হাঁটি পা পা করে আমরা একবছরে পা রেখেছি।নিসন্দেহে এটি আমাদের আনন্দের দিন।আজ আমাদের সকল স্মৃতিচারণ করা হবে।সকাল ১০টায় ইফতার সামগ্রী বিতরণের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কার্যক্রম শুরু হবে।- প্রেস বিজ্জপ্তি ।