মা – বোন লাঞ্ছিত ঘটনায় যুবকের আত্মহত্যা , এস আই ক্লোজড

মা – বোন লাঞ্ছিত ঘটনায় যুবকের আত্মহত্যা , এস আই ক্লোজড
মা – বোন লাঞ্ছিত ঘটনায় যুবকের আত্মহত্যা , এস আই ক্লোজড

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ বাদামতলীর মসজিদ গলিতে সালমান ইসলাম মারুফ (১৬) নামে এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনায় ডবলমুরিং থানার এস আই মোহাম্মদ হেলালকে ক্লোজড করা হয়েছে।

এছাড়া ঘটনা তদন্তের জন্য ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) ও ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত)কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দুই সদস্যের এ কমিটিকে আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে মারুফের আত্মহত্যা বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হযেছে। নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম জোন) ফারুক-উল হক গণমাধ্যমকে একথা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) রাত ১০ টার দিকে  আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় এলাকার মসজিদ গলিতে আত্মহত্যার এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে স্থানীয়রা জানান, সাদা পোশাকে ‘আসামি’ মারুফকে ধরতে আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড়ে যান ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হেলাল খান। সাদা পোষাকে থাকায় এসআই হেলালকে চিনতে না পেরে তার সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ায় মারুফ। খবর পেয়ে মারুফের মা ও বোন ও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তারাও মারুফকে ছাড়াতে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এক ফাঁকে  পুলিশের কাছ থেকে ছুটতে পেরে মারুফ পালিয়ে যায়। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে মারুফের বোন অজ্ঞান হয়ে গেলে পুলিশ তাকে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু পালিয়ে যাওয়া মারুফ তার মা ও বোনকে তার কারণে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে এ ভেবে চাচার বাসার সিলিং ফ্যানে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

ঘটনার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর রাত পৌনে ১২টার দিকে ডবলমুরিং থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে লাশ উদ্ধার করতে গেলে এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়ে৷ তারা মারুফের মৃত্যুর জন্য পুলিশকে দায়ী করেন।

আত্মহত্যাকারী মারুফের মা ও বোন সরাসরি এসআই হেলালের প্রতি অভিযোগের আঙুল তুলে বলেন, মারুফকে  আটকের চেষ্টাকালে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এস আই হেলাল। তারা বলেন, আমরা মা-মেয়ে তার (এসআই হেলাল) পায়ে ধরেও কাজ হয়নি।

এদিকে, ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত ডবলমুরিং থানার এসআই হেলাল খানকে ক্লোজড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) এম হুমায়ুন কবির।

এছাড়া এ ঘটনা তদন্তের জন্য দুই সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপ কমিশনার ফারুক-উল হক।