সীতাকুণ্ড প্রাণী সম্পদ হাসপাতলের ডাক্তাররা হোম ভিজিটে কাজ সারেন , বিনামূল্যের ঔষুধে চলছে বানিজ্য

সীতাকুণ্ড প্রাণী সম্পদ হাসপাতলের ডাক্তাররা হোম ভিজিটে কাজ সারেন , বিনামূল্যের ঔষুধে চলছে বানিজ্য
সীতাকুণ্ড প্রাণী সম্পদ হাসপাতলের ডাক্তাররা হোম ভিজিটে কাজ সারেন , বিনামূল্যের ঔষুধে চলছে বানিজ্য

বিশেষ প্রতিবেদক ।।

ডাক্তারের উপস্থিতি না থাকায় দীর্ঘায়িত সমস্যার বেড়াজালে রোগী শূন্য হয়ে পড়েছে উপজেলা প্রাণী সম্পদ হাসপাতাল। খাতা-কলমে অফিস কর্তাদের হাজিরা মিললেও দৃশ্যমান নেই স্ব-শরীরে। কোনো প্রকার জবাব দিহীতা না থাকায় কর্তব্য, কর্ম ও কর্তাহীন হয়ে পড়েছে পুরো অফিস। এছাড়া হোম ভিজিটের নামে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিনামূল্যে বিতরনকৃত ঔষুধ বিক্রির রয়েছে অভিযোগ। 

সীতাকুন্ড উপজেলা প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে চিকিৎসায় কর্মরত রয়েছেন প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, ভ্যাটেনারী সার্জন,  টিকাদানকারী ও অফিস সহকারীরা। সরকারী নিয়মনুযায়ী ৯-৫ টা অফিস হাজিরা নিশ্চিতের বাধ্য-বাধকতা থাকলেও বাস্তবে দেখা মেলে না কর্মকর্তাদের। এ অবস্থায় চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাসপাতালে হতে ফেরত যেতে হচ্ছে গৃহ পালিত পশু মালিকদের। তবে রোগী ফেরত গেলেও হোম ভিজিটের পরামর্শ দিতে দ্বিধা করেন না অফিস সহকারীরা।

পশু চিকিৎসা নিতে আসা লোকজন বলেন,‘ এক সময় হাসপাতাল নির্ভর ছিল পশুর চিকিৎসা। এখন হাসপাতালে আসলে পাওয়া যাই না চিকিৎসা ও ঔষুধ। ঘন্টার পর ঘন্টা ডাক্তারের অপেক্ষায় থেকে মৃত্যুকুলে ঢলে পড়ে অসুস্থ পশু। অথচ হাসপাতালে ডাক্তারের হুদিস না মিললেও বাড়িতে উপস্থিত মিলে যথা সময়ে। আর বাড়িতে চিকিৎসার ফি ও ঔষুধের খরচ দিতে লাগে হাজার টাকার উপরে।’ এভাবে হোম ভিজিটের নামে সরকারী কর্মকর্তারা পশু চিকিৎসায় আদায় করছে চিকিৎসা ‘ ফি’সহ বিনামূল্যে বিতরনকৃত সরকারী ঔষুধের মূল্য। 

এদিকে, প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে বিনামূল্যে বিতরনে প্রতি বছর সরকারীভাবে প্রদত্ত হয় লক্ষ টাকার ঔষুধ। পশু চিকিৎসায় ঔষুধগুলো বিতরন না হলেও বছর শেষে মজুদকৃত ঔষুধের হিসাব থাকে শূন্যের কৌটায়। আর হোম ভিজিটে বিনামূল্যে বিতরকৃত ঔষুধ বানিজ্যে পশু চিকিৎসায় সেবা বঞ্চিত করে সরকারী সম্পদ লুটপাট চালাচ্ছে কর্মকতারা। তবে হাসপাতাল প্রধান না থাকায় আভ্যন্তরীন বিষয়ে তথ্য প্রদানের সুযোগ নেই বলে জানান উপজেলা প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শাহজালাল মো. ইউনুচ। অথচ নানা দুর্ণীতি ও অনিয়মে সাথে জড়িত থেকে ডাক্তারদের ভিজিট বানিজ্য ও ঔষুধ চুরি চলতে থাকলেও নেই নজধারী।

এ বিষয়ে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রেয়াজুল হক  বলেন,‘ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা না থাকায় কাজে কিছু অনিয়ম হয়ে যেতে পারে। তবে অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।