সীতাকুণ্ডের এক অভিভাবকহীন রাস্তা ! নেই কোন সংস্কার, নেই কোন সড়কবাতিও

সীতাকুণ্ডের এক অভিভাবকহীন রাস্তা ! নেই কোন সংস্কার, নেই কোন সড়কবাতিও

এম কে মনির,সীতাকুণ্ড, চট্রগ্রাম ।।

এ এমন এক রাস্তা , যেন এক দুর্দশাগ্রস্থ। ।সম্পূর্ণ অংশই ভাঙা আর খানাখন্দে ভরা।অসমতল, উঁচুনিঁচু -ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত,নেই কোন সড়কবাতি, নেই কোন সংস্কার। এমনই একটি সড়ক সীতাকুণ্ড পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডে যাকে বলা হয় রেলওয়ে স্টেশন রোড়।সড়কটি কলেজরোড কালী মন্দির হয়ে গোড়াওন রোড়ে গিয়ে শেষ হয়েছে। দূরত্ব ৪০০ মিটার।প্রতিদিন অন্তত বিশ হাজার মানুষ চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে।বিশেষ করে সীতাকুণ্ড রেলওয়ে স্টেশনে যাতায়াতের প্রধান সড়ক।সীতাকুণ্ডের অসংখ্য শহরগামী চাকুরীজীবী প্রতিদিন সকাল -সন্ধ্যা এই সড়ক দিয়ে আসা যাওয়া করে।সীতাকুণ্ড বালিকা বিদ্যালয়সহ পৌরসভার ২,৩,৪ নং ওয়ার্ডের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী চলাচল করে।কিন্তুু অত্যন্ত দু:খের বিষয় পৌরসদরের এই সড়কটির বর্তমানে বেহালদশা। সন্ধ্যার পর থেকে সড়কটি ঘুটঘুটে অন্ধকার সুড়ঙ্গে রুপ নেয়।ফলে রাতের বেলায় রেলের যাত্রীরা পড়ে সীমাহীন দূর্ভোগে।ফলে যেকোন সময় ঘটতে পারে যেকোন দূর্ঘটনা।অত্র এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মো:শাহ আলম জানান রাস্তাটি দিয়ে আমাদের বাধ্য হয়ে চলাচল করতে হয়।রাতের বেলায় বাতি না থাকায় চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।এলাকার অসংখ্য মানুষ রাতের বেলায় হোঁচট খেয়ে পড়ে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি।সোবহান বাগ এলাকার চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো:রাজু জানান সড়কটি আমাদের এলাকার জন্য নয় শুধু বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য মানুষের জন্যও প্রয়োজনীয়।দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি এ সড়কটির বেহাল ও জরাজীর্ণ অবস্থা।পৌরসভার কাছে বেশ কয়েকবার লিখিত দরখাস্ত দিয়েও কোন লাভ হয়নি।রাস্তাটির কোন অভিভাবক নেই বলে মনে করেন তিনি।এলাকাবাসী অতিদ্রুত এ সড়কটির সংস্কার চাই।সড়কটির ব্যাপারে সীতাকুণ্ড পৌর কতৃপক্ষের উওর একটাই এটি রেলওয়ে কতৃপক্ষের সড়ক।ফলে পৌরসভার উন্নয়নের আওতার বাইরে সড়কটি।এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মতিলাল বড়ুয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সড়কটি রেলওয়ে কতৃপক্ষের আওতায় ঠিকই কিন্তুু রেলওয়ের প্রয়োজন না হওয়ায় সড়কটি সংস্কার হচ্ছে না।একসময় যখন রেলওয়ের মালামাল পরিবহন করা হতো এই সড়ক দিয়ে তখন রেলওয়ে সড়কটির দেকভাল করতো।কিন্তুু এখন আর কোন মালামাল আনা নেওয়া হয় না।ফলে সড়কটি রেলওয়ের জন্য অপ্রয়োজনীয়।আর রেলের যাত্রীরা ভিন্ন পথে যাতায়াত করে বলে জানান তিনি।এ বিষয়ে পৌরমেয়র আলহাজ্ব বদিওল আলম জানান সড়কটি রেলওয়ের হওয়াতে সংস্কার করা যাচ্ছে না।রেলওয়ের না হলে সংস্কারে কোন বাঁধা নেই। তবে সংস্কারবিহীন ও অবহেলিত এই সড়কটির সংস্কার চান স্থানীয় জনগণ।