সীতাকুন্ডে কালো ধোঁয়ার দুষনে ভারী হয়ে উঠেছে কেশবপুরের আকাশ,দুষন হতে বাঁচতে চায় সাধারণ মানুষ

সীতাকুন্ডে কালো ধোঁয়ার দুষনে ভারী হয়ে উঠেছে কেশবপুরের আকাশ,দুষন হতে বাঁচতে চায় সাধারণ মানুষ
সীতাকুন্ডে কালো ধোঁয়ার দুষনে ভারী হয়ে উঠেছে কেশবপুরের আকাশ,দুষন হতে বাঁচতে চাই সাধ্রান মানুষ

সীতাকুন্ড প্রতিনিধ ।।

সীতাকুন্ডে পরিবেশ আইন অমান্য করে পুরাতন জাহাজের পুড়া তৈল প্রক্রিয়াজাত করনের কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ দুষনের অভিযোগ উঠেছে একটি কালো তেলের কারখানার বিরুদ্ধে। দিন-রাত পুড়ানো তেলের গন্ধে নাভিশ্বাস হয়ে উঠায় কারখানার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। কিন্তু নিয়মবর্হিবুত পরিচালিত কারখানার বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অভিযোগ থাকলেও সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসছে না কেউ।
সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে তেল পুড়াচ্ছে আফসান এন্টারপ্রাইজ নামের একটি কালো তেলের কারখানা। সম্পূর্ন নিজস্ব প্রক্রিয়ায় চুল্লি বসিয়ে দিন-রাত তেল প্রক্রিয়াজাত করনের ফলে পুড়া তেলের কালো ধোয়া ও দুষিত গন্ধে দুষিত হয়ে পড়েছে পুরো এলাকা। দিনের পর দিনে পরিস্থিতি চরম আকার ধারন করায় দুর্বিসহ জীবন-যাপন করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। অথচ দুষনের কবলে পড়ে শিশু-বৃদ্ধরা নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করলেও প্রতিকার নেই বলে জানান এলাকাবাসী।
কেশবপুর গ্রামের ভোক্তভোগী জনগন বলেন,‘ দীর্ঘদিন ধরে দিদারুল আলম নামের এক স্থানীয় লোক পুরো এলাকাকে বানিয়ে রেখেছে দুষিত কালো তেলের ডিপো। এলাকার একাধিক স্থানে মজুদের পাশাপাশী কারখানা বসিয়ে দিন-রাত পুড়িয়ে যাচ্ছে কালো তেল। এ অবস্থায় কারখানার পুড়া তেলের ধোয়ায় আচ্ছাদিত হয়ে ভারী হয়ে উঠে আকাশ-বাতাস। এ অবস্থায় কারখানা হতে প্রতিনিয়ত নির্গত কালো ধোয়ার দুর্গন্ধে এলাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে নানা রোগ। অথচ দিনের পর দিন কারখানাটির দুষন চলতে থাকলেও প্রতিকারের উদ্যোগ নেয়ার কেউ নেই বলে জানান তারা।
এদিকে, প্রশাসনের অগোচরে নিয়মবর্হিবুত কালো তেলের কারখানাটি পরিচালিত হওয়ায় নেই আইনি ব্যবস্থা। যে কারনে আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে কোলো তেল পুড়িয়ে পুরো এলাকায় দুষন ছড়িয়ে যাচ্ছে কারখানাটি। অথচ দুষন করার পরও আইন-কানুন বজায় রেখে কারখানার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলে দাবী করেন কারখানার মালিক দিদারুল আলম। আর এভাবে নানা ছলছাতুরীর মাধ্যমে কারখানাটিতে পরিচালিত হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফেরদৌস হাসান বলেন,‘ জাহাজের কালো তেলের কারখানাকে পরিবেশ ছাড়পত্র সুযোগ নেই।’ পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া পরিচালিত কারখানার বিরুদ্ধে দুষনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।