সীতাকুন্ডে খননের অভাবে ভরাট প্রায় ২৭টি খাল, জলাবদ্ধতায় নাকাল পুরো উপজেলা

সীতাকুন্ডে খননের অভাবে ভরাট প্রায় ২৭টি খাল, জলাবদ্ধতায় নাকাল পুরো উপজেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক,সীতাকুন্ড ।।

সীতাকুন্ডে খনন কাজ না হওয়ায় দখল-দুষনে সংকুচিত হয়ে পড়েছে ২৭টি খাল। নজরধারী না থাকায় দখল-দুষন ও ভরাট হয়ে খানা-খন্দে রুপ নিয়েছে ভরে যাওয়া খালগুলো। এ পরিস্থিতিতে বিলিন প্রায় খালে জলাবদ্ধতা স্থায়ী রুপ লাভ করায় জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্বিসহ অবস্থা। এছাড়া পাহাড়ী ঢল ও সমতলে জমে থাকা পানির নিচে ডুবে শত শত একর জমির চাষাবাদ বন্ধ হয়ে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বেড়ে টানতে হচ্ছে বেকারত্বের ঘানি। 

উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের পানি নিস্কাশনে নদী কেন্দ্রিক রয়েছে ২৭টি খাল। এলাকা ভিত্তিক জলাবদ্ধতা দুরীকরনের সাথে চাষাবাদের পানি যোগানদানে উপকার ভোগী হয়ে কাজ করছে খালগুলো। কিন্তু দীঘদিন ধরে খনন কাজ না হওয়ায় উপর থেকে নেমে আসা খালগুলো হয়ে উঠেছে জনগনের গলার কাটা। এ অবস্থায় ভরাট ও দখলের কবলে পড়ে নিস্কাশনের পরিবর্তে দেখা দিয়ে খালগুলো জনদুর্ভোগের অন্যতম কারন দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীদের।

 স্থানীয়রা বলেন,‘ বর্ষায় পানি নিস্কাশিত হতে না পেরে প্লাবিত হয়ে ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট ঢুকে পড়ে চরা ও খালের পানি। জলাবদ্ধতা স্থায়ী রুপ লাভ করায় বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে পুরো এলাকা। এছাড়া জমে থাকা পানিতে আবাদী জমির চাষাবাদ বন্ধ হয়ে প্রতিটি এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্যখভাব। কিন্তু যুগ যুগ ধরে জনদুর্ভোগে নাকাল হয়ে পড়লেও সমস্যা সমাধান নেই বলে জানান তারা। 

এদিকে, জনদুর্ভোগ লাগবে টেক্সের সাথে ইউনিয়ন ভিত্তিক সরকারী অর্থে শত কোটি টাকার বরাদ্ধের তথ্য পাওয়া গেলেও উন্নয়নের চিত্র খোঁজে পাওয়া র্দুসাধ্য। ফলে প্রতি বছর ভ’মি রাজস্বের প্রায় কোটি টাকাসহ বিভিন্ন প্রকল্প হতে ব্যায় হয় না কানাকড়ি। অথচ প্রতি বছর খাল খননসহ এন জি এসপি, টি আর কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পের অর্থ উন্নয়ন কাজে না আসলেও নেই নজরধারী।