'সীতাকুন্ড টেম্পো মালিক সমিতি নেতার কান্ড' পুলিশের নামে ২ লাখ টাকা চাঁদা তুলে ইমন, একেখান-জিইসি রুটে চলে অবৈধ অটোটেম্পু শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

'সীতাকুন্ড টেম্পো মালিক সমিতি নেতার কান্ড' পুলিশের নামে ২ লাখ টাকা চাঁদা তুলে ইমন, একেখান-জিইসি রুটে চলে অবৈধ অটোটেম্পু শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

গত ১৬ অক্টোবর ২০২০ অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্যাসেন্জার ভয়েজ (https://passengervoice.net/news-view/4891) এ “সীতাকুন্ড টেম্পো মালিক সমিতি নেতার কান্ড। পুলিশের নামে ২ লাখ টাকা চাঁদা তুলে ইমন, একেখান-জিইসি রুটে চলে অবৈধ অটোটেম্পু” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত, কাল্পনিক, মনগড়া ও ব্যক্তির ব্যবসা-বানিজ্যের জন্য সুনাম হানিকর। সংগতকারনেই প্রকাশিত সংবাদটির তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি  এবং এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরছি:-

১। সংবাদের শুরুতে “রুট পারমিট ও ফিটনেসবিহীন ৭০টি অটোটেম্পো চলাচল করছে” বলে প্রতিবেদনে প্রকাশিত প্রতিবেদকের ভাষ্য সঠিক নয়। প্রকৃত পক্ষে একেখান-জিইসি রুটে  পারমিটবিহীন কোন অটোটেম্পো চলাচল করেনা। এ বিষয়ে সুষ্পষ্ট ধারনার জন্য বিআরটিএ (বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি)র ওয়েভ সাইট (www.brta.gov.bd) এই লিন্কে ( http://service.brta.gov.bd/fees/vcl_renewal_all.php) এ গিয়ে দেখা গেছে  প্রতিবেদনে উল্লেখিত ৩৮টি অটোটেম্পোর প্রত্যেকটি অটোটেম্পোর “রুট পারমিট ও ফিটনেস হালনাগাদ” আছে। অথচ প্রতিবেদক মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য দিয়ে পুলিশ বাহিনীর নাম ব্যবহার করে পুলিশের নামে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করছেন মালিক সমিতির নেতা ইমন- যা কোনভাবেই সঠিক নয়। বক্ত্যটি জনমনে মালিক সমিতি ও ট্রাফিক পুলিশ  সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপপ্রয়াস মাত্র।

২।  প্রকাশিত প্রতিবেদনের শুরুতে প্রতিবেদক “৭০টি অবৈধ অটোটেম্পো চলাচল করছে” মর্মে উল্লেখ করলেও মাত্র ৩৮টি অটোটেম্পোর নাম্বার উল্লেখ করেছেন। এবং ৩৮টি নাম্বারের মধ্যে এমন কিছু টেম্পো নাম্বার উল্লেখ করেছেন, চট্টগ্রাম শহরেই যার কোন অস্বিত্ব নেই।

৩। প্রতিবেদক ভাষ্য মতে, “সকল বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও এই নেতার নামে “আকবরশাহ, খুলশী ও পাঁচলাইশ” থানার টিআইদের ছত্রছায়ায়  গাড়িপ্রতি চাঁদা দিতে হয়।”- এই আপত্তিকর শব্দচয়নের মাধ্যমে প্রতিবেদক ও অনলাইন পত্রিকা সংশ্লিষ্ট একটি স্বার্থান্বেষী মহল ট্রাফিক পুলিশকে চাপে রেখে বিশেষ সুবিধা আদায় করতে তৎপর বলে প্রতিয়মান হয়। কারন ১১ নং রুটে চট্টগ্রাম সীতাকুন্ড অটোটেম্পো মালিক সমিতি (রেজি নং ১৪২৬) এবং চট্টগ্রাম অটোরিক্সা, অটোটেম্পো, ফোরষ্ট্রোক ও সিএনজি মালিক সমিতি (রেজি নং ২২৩০)  রোড পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে আলাদা আলাদা লাইন পরিচালনা করতো।

প্রকৃত পক্ষে চট্টগ্রাম অটোরিক্সা, অটোটেম্পো, ফোরষ্ট্রোক ও সিএনজি মালিক সমিতি (রেজি নং ২২৩০) এর সভাপতি মো: আবুল কাশেম সরকারের মৃত্যুর পর সংগঠনটির তৎপরতা অনেকাংশে দুর্বল হয়ে পড়ায় অটোটেম্পো মালিক ও সংশ্লিষ্ট লাইন পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সমঝোতায় লাইন পরিচালনার সার্বিক দায়িত্ব চট্টগ্রাম সীতাকুন্ড অটোটেম্পো মালিক সমিতি (রেজি নং ১৪২৬) এর উপর অর্পন করা হয়। সংগতকারনেই রবিন মোটর্সের স্বত্ত্বাধিকারী ইমাম উদ্দিস ইমন “চট্টগ্রাম সীতাকুন্ড অটোটেম্পো মালিক সমিতির নির্বাচিত যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হিসেবে সময় সময় অটোটেম্পো মালিকদের ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট একেখান -জিইসি রুটে কাজ করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট একেখান-জিইসি রুটে এখনও দায়িত্ব পালন করেন। এখানে “আকবরশাহ, খুলশী ও পাঁচলাইশ” থানার টিআইদের সম্পৃক্ত করে সংবাদ প্রচার উদ্দেশ্যমুলক, ভিত্তিহীন ও  সাধারন জনমনে সম্মানহানির অপতৎপরতার সামিল। 

প্রকৃতপক্ষে জনৈক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন, সাধারন সম্পাদক স্বাক্ষরিত  ফিরোজ মিয়া, তার ছেলে মো: রাশেদ মিয়া ও তার জামাতা শাহাদাৎ হোসেন কর্তৃক চট্টগ্রাম অটোরিক্সা অটোটেম্পো ফোরষ্ট্রোক - সিএনজি চালক সমিতির একটি ভুয়া প্যাড ব্যবহার করে তথাকথিত “কার্যকরী শাখা কমিটির” নামে ১১নং রুটে শ্রমিকদের জিম্মি করে লাইন পরিচালনার নামে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়। অটোটেম্পো পরিচালনায় অতিষ্ঠ হয়ে চট্টগ্রাম সীতাকুন্ড অটোটেম্পো মালিক সমিতি (রেজি নং ১৪২৬) এর কার্যকরী সভাপতি আব্দুল ওহাব বাবুল ও সাধারন সম্পাদক মো: ইব্রাহিম হোসেন স্বাক্ষরিত “১১নং রুটে চাঁদাবাজি ও ভুয়া সংগঠনের শাখা কমিটির বেআইনি অপতৎপরতা বন্ধ করার জন্য  মাননীয় পুলিশ কমিশনার, সিএমপি চট্টগ্রাম বরাবের লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। 

এরই প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট জনৈক ফিরোজ মিয়া কর্তৃক পুনরায় চট্টগ্রাম অটোরিক্সা, অটোটেম্পো, ফোরষ্ট্রোক ও সিএনজি মালিক সমিতি (রেজি নং ২২৩০) মো: বেলাল হোসেন, সাধারন সম্পাদক স্বাক্ষরিত ১১নং রুটে একটি ভুয়া শাখা কমিটি গঠন করেন। শুধু তাই নয় উক্ত শাখা কমিটিতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্যাসেন্জার ভয়েজ ( https://passengervoice.net) এর সম্পাদক/প্রকাশক মো: সামসুদ্দিন চৌধুরীকে (মোবাইল নং- ০১৮৩২-৪৪২৭৯৪) উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন। এই সামসুদ্দিন চৌধুরীর মুল উদ্দেশ্য ছিলো পুলিশ প্রশসনকে চাপে রেখে অবৈধ শাখা কমিটির মাধ্যমে “চট্টগ্রাম সীতাকুন্ড অটো টেম্পো মালিক সমিতি রেজি নং ১৪২৬” এর বৈধ ১১ নং নং রুট দখল করে বহিরাগত লোকজন দিয়ে লাইন পরিচালনার নামে চাঁদাবাজির জন্য দখল-দারিত্ব নিশ্চিত করা। তার এই ঘৃন্য উদ্দেশ্য দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য নিজের অনলাইন পত্রিকায় “চট্টগ্রাম সীতাকুন্ড অটো টেম্পো মালিক সমিতি (রেজি নং ১৪২৬) নেতা  ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমুলক সংবাদ প্রকাশ করেছেন।
 
উল্লেখ্য যে, রবিন মোটর্সের স্বত্ত্বাধিকারী ইমাম হোসেন “চট্টগ্রাম সীতাকুন্ড অটোটেম্পো মালিক সমিতি রেজি নং- ১৪২৬) এর নির্বাচিত যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এবং সুদীর্ঘ ২০ বৎসর যাবত সুনামের সাথে পরিবহন ব্যবসায় যুক্ত থেকে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। কে বা কাহারা রবিন মোটর্সের ব্যবসায়িক পরিচয় পত্র ব্যবহার করে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে অপতৎপরতা চালাচ্ছেন। এ ধরনের অপতৎপরতা বন্ধে ইতিমধ্যে তিনি সংশ্লিষ্ট থানায় আইনের আশ্রয় নিচ্ছেন। ভবিষ্যতে রবিন মোটর্সের ব্যবসায়িক পরিচায়পত্র কেউ ব্যবহার করলে আইন অনুসারে ব্যসস্থা গ্রহন করা হবে মর্মে তিনি মালিক সমিতিকে অবহিত করেছেন।  

উপরোক্ত তথ্য ও সংশ্লিষ্ট কাগজ-পত্র পর্যালোচনায় প্রতিয়মান হয় “অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্যাসেন্জার ভয়েজ ( https://passengervoice.net) এ “সীতাকুন্ড টেম্পো মালিক সমিতি নেতার কান্ড। পুলিশের নামে ২ লাখ টাকা চাঁদা তুলে ইমন, একেখান-জিইসি রুটে চলে অবৈধ অটোটেম্পু” প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ন উদ্দেশ্যমুলক, মিথ্যা, বানোয়াট, ষড়যন্ত্রমুলক, মালিক সিমিতির কার্যক্রমে অনৈতিক হস্তক্ষেপ, জনমনে পুলিশ বিভাগের জন্য সম্মানহানিকর এবং হলুদ সাংবাদিকতায় পরিপূর্ন বিধায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি। এবং সংশ্লিষ্ট অনলাইন পত্রিকায় এর প্রতিবাদ ছাপিয়ে ভুল তথ্য পরিবেশনের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। অন্যথায় “চট্টগ্রাম সীতাকুন্ড অটো টেম্পো মালিক সমিতি রেজি নং ১৪২৬” সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক ও অনলাইন পত্রিকার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহন করবে।

মো: আব্দুল ওহাব বাবুল                       মো: ইব্রাহিম হোসেন 
কার্যকরী সভাপতি                                     সাধারন সম্পাদক

সীতাকুন্ড টেম্পো মালিক সমিতি