সীতাকুন্ডে মাসোয়ারায় চলে অবৈধ যানবাহন ও পন্য পরিবহন , চাঁদাবাজির প্রধানতম মাধ্যম মহাসড়ক

সীতাকুন্ডে মাসোয়ারায় চলে অবৈধ যানবাহন ও পন্য পরিবহন , চাঁদাবাজির প্রধানতম মাধ্যম মহাসড়ক
সীতাকুন্ডে মাসোয়ারায় চলে অবৈধ যানবাহন ও পন্য পরিবহন , চাঁদাবাজির প্রধানতম মাধ্যম মহাসড়ক

সীতাকুন্ডে প্রতিনিধি।।

সীতাকুন্ডে পুলিশ ও শ্রমিক সংগঠনসহ নামে-বেনামে পচিালিত চাঁদাবাজদের কারনে মহাসড়কে চলছে অবৈধ যানবাহন ও পন্য পরিবহন। আইন প্রয়োগে দুর্বলতায় সড়কে অবৈধ পরিবহন বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম হয়ে উঠেছে ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি ও দুর্ঘটনা। এ পরিস্থিতিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে উঠেছে চাঁদাবাজির অন্যতম মাধ্যম ও মৃত্যুপুরি।

ত্রি-চক্র যান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু সারা দেশে অবৈধ পরিবহন চলাচলে বাধ্য-বাধকতা থাকলেও মহাসড়কের সীতাকুন্ড অংশে পথে চলতে পারে সিএনজি আটোরিক্সা, ব্যাটারী চালিত রিক্সা,ভটভটি,নচিমনসহ লাইন্সেবিহীন গাড়ি। প্রতিদিন অবৈধ গাড়ি বন্ধে সড়কের একাধিক পথে গাড়ি চেকিংয়ে হাইওয়ে পুলিশকে দেখা গেলেও নেই কার্যকরী ব্যবস্থা। এতে যানজট ও দুর্ঘটনার পাশাপাশী সড়কে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে চাঁদাবাজি। প্রশাসন ও পরিবহন শ্রমিক সংগঠনসহ নানা নামে সড়ক পথে চাঁদা চলতে থাকায় ৩৭ কিলোমিটার পথ চরম ঝুকিপূর্ন হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ চালকদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্চুক চালক ও মালিকরা বলেন,‘ মাসোয়ারায় সড়ক পথে চলতে হবে। কাগজ পত্র ঠিক থাকুক আর না থাকুক রাস্তায় চলতে হলে দিতে হবে চাঁদা। সিএনজি প্রতি ২’শ টাকা, প্রাইভেট কার প্রতি ১ হাজার টাকা, পিকআপ ভ্যান প্রতি ২ হাজার টাকা, ব্যাটারী চালিত রিক্সা প্রতি ৫’শ টাকা  মাসিক মাসোয়ারা দিয়ে চলে অবৈধ পরিবহন।’ মাসোয়ারা দিতে একটু দেরী হলে গুনতে হবে মোটা অংকের জরিমানা বলে জানান তারা।

এ অবস্থায় মহাড়কের লাইসেন্সবিহীন ও ফিটনেসবিহীন বৃদ্ধি পেয়ে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়ে সীতাকুন্ডে প্রতিদিন বেড়ছে হতাহতের ঘটনা। চলতি মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বরন করেছে পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোটর সাইকেল আরোহী ও পথচারী। এ পরিস্থিতিতে অবৈধ পরিবহন বৃদ্ধির সাথে ভাড়া নৈরাজ্যে, যাত্রী হয়রানি চলতে থাকায় মহাসড়ক ঝুকিপূর্ন হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ যাত্রী অধিকার সংরক্ষন পরিষদের।

চট্টগ্রাম যাত্রীকল্যান সমিতির চট্টগ্রাম জেলা সাধারন সম্পাদক শামসুদ্দিন বলেন,‘ সীতাকুণ্ড-চট্টগ্রাম ৩৭ কিলোমিটারের পথের ভাড়া ২৫-৩০ টাকা। কিন্তু তা অমান্য করে যাত্রীদের থেকে ভাড়া আদায় করা হয় ৩৫-৪০ টাকা। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ, শ্রমিক পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতে চাঁদা দিতে গিয়ে যাত্রীদের থেকে বেশী ভাড়া আদায় করছে চালকরা। সে সাথে মহাসড়কের পথে পথে গাড়ি চেকিংয়ের নামে হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি তো চলছে। তাই সড়কে জনদুর্ভোগ কমাতে হলে সর্ব প্রথম চাঁদাবাজী বন্ধ করতে হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আউয়াল বলেন,‘ সড়কের অবৈধ পরিবহন বন্ধে একাধিক স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন মামলা দেয়ার পরও সড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়ে উঠছে না।’ তাছাড়া সবার মাঝে সচেতনতা তৈরী না হলে কোনো আইন কাজে আসবে না বলে জানান তিনি।