সীতাকুন্ড সমুদ্র উপকূলে স্ক্র্যাপ জাহাজে ১৭ চীনা নাবিক

সীতাকুন্ড সমুদ্র উপকূলে স্ক্র্যাপ জাহাজে ১৭ চীনা নাবিক
সীতাকুন্ড সমুদ্র উপকূলে স্ক্র্যাপ জাহাজে ১৭ চীনা নাবিক

সীতাকুন্ড সংবাদদাতা ।।

সীতাকুন্ড সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত স্ক্র্যাপ জাহাজে দুইদিন ধরে ১৭জন চীনা নাবিক এ স্ক্র্যাপ জাহাজে অবস্থান করে চলেছে। জাহাজটি কাটার জন্য সোনাইছড়ি লালবেগ সমুদ্র উপকূলে শিপইয়ার্ডে জাহাজটি কাটার জন্য বীচ করা হলেও নাবিকদের নীচে নামতে দেওয়া হয়নি। তবে তাদের শরীরে কোরোনাভাইরাস নেই বলে দাবি করেছে জাহাজ আমদানীকারক মালিক এজেন্সি।
স্থানীয় ও ইয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, জাপানের পতাকাবাহী ইউনি হারভেস্ট কার্গো জাহাজটি ওজনের চীন থেকে জাহাজটি চট্টগ্রাম সীতাকন্ডে উপজেলার সোনাইছড়ির ইউনিয়নের লালবেগ শিপইয়ার্ডে কাটার জন্য আনা হয়েছে। জাহাজ থেকে অন্যান্য নাবিকরা নিচে নেমে গেলেও ১৭জন চীনা নাবিক এখনো জাহাজে অবস্থান করছে। তাদেরকে নিচে নামতে দেওয়া হয়নি।
জাহাজ আমদানিকারক (এজেন্ট) ও প্রতিষ্ঠানের মালিক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, স্ক্র্যাপ জাহাজ সৈকয়াতন করার পর বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষ করে নাবিকদের নিজের দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। জাহাজের ল্যান্ডিং অনুমোদনের পর বন্দর কর্তৃপক্ষ বিদেশ থেকে আসা নাবিকদের ইমিগ্রেশন শেষে তারা দেশে ফিরে যেতে পারবে বলে জানান। তিনি আরো বলেন, স্ক্র্যাপ জাহাজে থাকা চীনা ১৭ নাবিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। বন্দর হেলথ অর্থরটি জানিয়েছে তাদের শরীরের কোন ভাইরাস পাওয়া যায়নি। বিমানের টিকেট নিশ্চিত হলে তাদেরকে জাহাজ থেকে নামিয়ে তাদের দেশে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নয়। তবে গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি ইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ বরাবরে একটি নোটিশ পাঠিয়েছেন। তার মধ্যে লিখা আছে করোনা ভাইরাস হতে মুক্ত রাখার লক্ষ্যে চীন থেকে ক্রয়কৃত অথবা সাম্প্রতিক চীনের সমুদ্র বন্দর ব্যবহারকারী জাহাজের নাবিকদের করোনা ভাইরাস পরিক্ষাবিহীন সীতাকুন্ডে শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে বীচিং না করার জন্য এবং শিপের নাবিকদের ভূমিতে না নামার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।