সোমবার সকাল থেকে দোকানপাট ও বিপণিবিতান বন্ধ, রেস্তোরাঁ খোলা

সোমবার সকাল থেকে দোকানপাট ও বিপণিবিতান বন্ধ, রেস্তোরাঁ খোলা
সোমবার সকাল থেকে সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা।।

প্রাণঘাতী মহামারী করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আগামীকাল সোমবার থেকে সীমিত আকারে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার।

রোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে কঠোর লকডাউন শুরুর আগে আগামী তিন দিনের বিধি-নিষেধে কী কী খোলা থাকবে, কী কী বন্ধ থাকবে তা জানিয়েছে সরকার।

আজ রবিবার (২৭ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই বিধি-নিষেধের মেয়াদ শেষে ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা রয়েছে। 

উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়া করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আনতে আগামী সোমবার থেকে সারাদেশে ‘কঠোর লকডাউন’ জারির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল গত শুক্রবার কিন্তু শনিবার জানানো হয়, সেই লকডাউন শুরু হবে ১ জুলাই।

এর পরিপ্রেক্ষিতে আগের তিন দিনের বিষয়ে নির্দেশনা জানায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

নির্দেশনা সমূহ 

০১. সোমবার থেকে পণ্যবাহী গাড়ি ও রিকশা ছাড়া সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
০২. সব শপিং মল, মার্কেট, পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
০৩. খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা নাগাদ শুধু খাবার বিক্রি করতে পারবে।
০৪. সরকারি-বেসরকারি সব অফিস খোলা থাকবে সীমিত জনবল নিয়ে। সেই সব কর্মচারীদের অফিসের ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে।

এরপর কঠোর লকডাউন প্রাথমিকভাবে সাত দিনের জন্য জারি করা হলেও প্রয়োজনে এর মেয়াদ বাড়তে পারে বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

বিধি-নিষেধ মানাতে পুলিশ ও বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনীও মাঠে থাকবে বলে জানান তিনি।

বাজেটের কাজে সহযোগিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক শাখা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ কয়েকটি অফিস আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে আগেই জানানো হয়।

 

করোনা সংক্রমণ রোধে গত শুক্রবার রাতে সরকারের এক তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে কঠোর লকডাউন পালন করা হবে। এ সময় জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। এ সময় সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী ছাড়া সব ধরনের গাড়ি চলাচলও বন্ধ থাকবে।

তবে গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় সোমবার থেকে সীমিত ও ১ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হবে। কঠোর এই লকডাউনেও রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানাসহ শিল্পকারখানা চালু থাকবে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও পণ্য পরিবহন যথারীতি চলবে। ব্যাংক কার্যক্রমও সীমিত পরিসরে চালু থাকবে।