মাছ আত্মসাৎ করার প্রতিবাদ করায় সীতাকুণ্ডে এক নারীকে উকিলের হেনস্তা ও মারধর!

মাছ আত্মসাৎ করার প্রতিবাদ করায় সীতাকুণ্ডে এক নারীকে উকিলের হেনস্তা ও মারধর!
মাছ আত্মসাৎ করার প্রতিবাদ করায় সীতাকুণ্ডে এক নারীকে উকিলের হেনস্তা ও মারধর!

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি।।

অংশীদারত্বের পুকুর থেকে মাছ আত্মসাৎ করার প্রতিবাদ করায় সীতাকুণ্ডে বয়োজ্যেষ্ঠ নারীকে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগ ওঠেছে এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

২৬ জুন শনিবার সকালে উপজেলার সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ ইদিলপুর গ্রামের কেরামত আলী ভূঁইয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে কেরামত আলী ভূঁইয়া বাড়ির মোঃ সাহাব উদ্দিন ও প্রতিবেশী এডভোকেট সরোয়ার আলম, জাহাঙ্গীর আলম ও মাহবুব আলমদের সঙ্গে পুকুরসহ জমি-জমা নিয়ে বিরোধ হয়ে আসছে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মাঝে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তুু সম্প্রতি বিবাধমান পুকুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বিবাধী সরোয়ার আলমসহ অন্যরা পুকুরের মাছ আত্মসাৎ করার চেষ্টা করে আসছে। ২৬ জুন শনিবার ভোরে সকলের অজান্তে বাদীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিবাধী এডভোকেট সরোয়ার আলম পুকুরে জাল দিতে শুরু করে। এ ঘটনা দেখে সাহাব উদ্দিনের স্ত্রী অভিযোগের বাদী ছালেহা বেগম প্রতিবাদ করলে তাকে তার স্বামী ও সন্তানের সামনে বেশ জোরে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। অপরদিকে সরোয়ার আলমের সঙ্গে থাকা অন্য বিবাদীগণ ছালেহা বেগমের ছেলে ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও করলে তাকেও মারধর করে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় এবং জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

তবে নারীকে হেনস্তা ও মারধরের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত আইনজীবী সরোয়ার আলম। তিনি বলেন, আমি কাউকে মারধর করিনি। বরং মহিলাটাকে বাঁচিয়ে নিয়েছি। তবে কার হাত থেকে বাঁচিয়ে নিয়েছেন তার কোন সুদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

এ বিষয়ে হেনস্তার শিকার নারীর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে শাহাদাত হোসেন বলেন, সরোয়ার আলম অংশীদারত্বের পুকুর থেকে সকল মাছ আত্মসাৎ করতে চাইলে আমি ও আমার মা প্রতিবাদ করি। এসময় সে অন্যায়ভাবে আমার মাকে ধাক্কা দেয় এবং মারধর করে। আমি মোবাইলে ভিডিও করলে সে এবং তার সহযোগীরা আমাকেও মারধর করে। তারা এখন আমাদেরকে নিয়মিত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমরা জানমালের ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছি। কি করে একজন আইনজীবী হয়ে আমার বৃদ্ধ মায়ের গায়ে সে হাত তুললো। এটা আমি মেনে নিতে পারছি না। আমি তার শাস্তি চাই।

ভুক্তভোগী নারী ছালেহা বেগম বলেন, আমাদের পুকুরের মাছ আত্মসাৎ করছে সরোয়ার। তাকে জাল দিতে নিষেধ করলে সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। বেশ কয়েকবার ধাক্কা দেয়, আমার গায়ে হাত তোলে। কয়েকজন আমার ছেলেকে গলাছিপে ধরে, সরোয়ার আমাকে মাটিতে ফেলে মারধর করে। আমি এ অন্যায়ের বিচার চাই।