সার্কিট হাউস সংলগ্ন শিশুপার্ক সবুজ চত্বর করার চসিক মেয়রের প্রতি খোরশেদ আলম সুজনের আহ্বান

সার্কিট হাউস সংলগ্ন শিশুপার্ক সবুজ চত্বর করার চসিক মেয়রের প্রতি খোরশেদ আলম সুজনের আহ্বান

চট্টগ্রাম নগরবাসীর অনুভূতির প্রতি সম্মান জানিয়ে সার্কিট হাউস সংলগ্ন শিশুপার্কটিকে সবুজ চত্বর করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আ. লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় উত্তর কাট্টলীর তাঁর নিজ বাসভবনে নাগরিক উদ্যোগের এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সভার শুরুতে সুজন আজ চট্টগ্রামের সকল দৈনিক পত্রিকায় সার্কিট হাউস সংলগ্ন সবুজ চত্বর নিয়ে অভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করায় সংশ্লিষ্ট সকল সম্পাদক এবং কলাকুশলীগণকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এ সময় তিনি জানান, পুরানো সার্কিট হাউসটি বাংলাদেশের একটি অনন্য ঐতিহ্য। ওই সার্কিট হাউস সংলগ্ন বর্তমান শিশুপার্কটি চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসের স্থাপত্যের অংশ বিশেষ।

 

তৎকালীন মেয়র বিএনপি নেতা মীর মো. নাছির উদ্দিন ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মঞ্চের স্মৃতিচারণ বন্ধ করার হীনপ্রয়াসে সবুজ চত্বরটিকে পার্ক নামক জঙ্গলে রূপান্তর করে। তাই ওই পার্কটি সরিয়ে সবুজ চত্বর করা এখন সময়ের দাবি।

তিনি আরও জানান, নগরীর বিভিন্ন স্থানে এভাবে উন্মুক্ত জায়গাকে পার্ক করার নামে বিভিন্ন জনের নিকট ইজারা দেয়া হয়েছে। ইজারা নেয়ার পরে ইজারা গ্রহীতারা চটকদার বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে পার্কসমূহ অসামাজিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রভূমিতে পরিণত করে। তিনি আগ্রাবাদ জাম্বুরী পার্কের শিশুপার্কটিও সবুজায়নের মাধ্যমে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য চসিক মেয়রকে অনুরোধ জানান। এছাড়া ফয়স’লেকসহ বিভিন্ন জায়গায় বিনোদন কেন্দ্রের নামে স্থাপিত পার্কসমূহে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের জন্য পুলিশ প্রশাসনের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

খোরশেদ আলম সুজন জানান, চট্টগ্রামের নগরীর তিন ভাগের দুই ভাগ জায়গা অধিগ্রহণের নামে রেলওয়ে এবং বন্দর দখল করে রেখেছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নামে এসব জায়গা অধিগ্রহণ করে নিলেও বছরের পর বছর এসব জায়গা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দেখা যাচ্ছে যে এসব জায়গা বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যাক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান তাদের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করছে। এসব অব্যবহৃত জায়গাগুলো উদ্ধার করেও পার্কসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র করা যায়। এ জন্য প্রয়োজন কার্যকর উদ্যোগ।

আমরা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মহোদয়ের কাছে আবেদন জানাতে চাই আপনি উদ্যোগী হয়ে চট্টগ্রামে অনেক ভালো ভালো কাজ করেছেন। বিভিন্ন সড়কে সৌন্দর্যবর্ধন করে নগরীকে সবুজে রূপান্তর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, ঠিক তেমনিভাবে সার্কিট হাউস সংলগ্ন শিশুপার্কটিকে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য সম্বলিত সবুজ চত্বর নির্মাণ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন। চট্টগ্রামবাসী আপনার পাশে থাকবে। আমাদের শিশুদের প্রাণভরে নিঃশ্বাস গ্রহণ করার সুযোগ করে দিন। পার্কের নামে আমাদের শিশুদের খাঁচায় বন্দি করে রাখবেন না। তাছাড়া নগরীর যে সকল এলাকায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান রয়েছে সে সকল এলাকায় নিয়মিতভাবে দুইবেলা পানি ছিটানোর আহবান জানান। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত হওয়ার পরেও নগরীর বিমানবন্দর সড়ক থেকে অবৈধ কন্টেইনার ইয়ার্ডসমূহ সরানোর কোন উদ্যোগ না নেয়ায় সভায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন নেতৃবৃন্দ।

নাগরিক উদ্যোগের সিনিয়র সদস্য সাইদুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিজাম উদ্দিন, সংগঠনের সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন, মোরশেদ আলম, মো. শাহজাহান, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, হাফেজ মো.ওকার উদ্দিন, শেখ মামুনুর রশীদ, সোলেমান সুমন, সমীর মহাজন লিটন, সাইফুল্লাহ আনছারী, জাহাঙ্গীর আলম, স্বরূপ দত্ত রাজু, রাজীব হাসান রাজন, রকিবুল আলম সাজ্জী, এম ইমরান আহমেদ ইমু, মো. ওয়াসিম, মাহফুজ চৌধুরী, মনিরুল হক মুন্না, সালা উদ্দিন জিকু, গিয়াস উদ্দিন রিয়াজ, আজম আলী জুয়েল প্রমুখ।