আওয়ামী লীগের সম্মেলন উদ্বোধনের অপেক্ষায়, উৎসবের হাওয়া বইছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

আওয়ামী লীগের সম্মেলন উদ্বোধনের অপেক্ষায়, উৎসবের হাওয়া বইছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

আজ রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিকেল ৩টায় আওয়ামী লীগের দুই দিনব্যাপী ২১তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার জাতীয় কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের স্লোগান হচ্ছে, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে গড়তে সোনার দেশ, এগিয়ে চলেছি দুর্বার, আমরাই তো বাংলাদেশ’।

শনিবার কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি নির্বাচন করা হবে। এ দিন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদে নাম ঘোষণা করা হবে।

এদিকে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধনের পর ২৫ মিনিটের একটি উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করা হবে। সেখানে তুলে ধরা হবে আওয়ামী লীগের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্য। সম্মেলন ঘিরে সারাদেশেই দলটির মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার। সম্মেলনের মঞ্চ ও প্যান্ডেল করা হয়েছে পদ্মাসেতুর আদলে। ৮১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির চারটি পদ শূন্য থাকায় মূল মঞ্চে চেয়ার থাকবে ৭৭টি। মঞ্চের সামনে নেতা-কর্মীদের জন্য চেয়ার থাকবে ৩০ হাজার। এ ছাড়া সম্প্রসারিত মঞ্চে ১৫ হাজার চেয়ার দেওয়া হবে। ২৮টি এলইডি পর্দায় দেখানো হবে সম্মেলনের পুরো অনুষ্ঠান। বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবীসহ অন্যসব পেশার বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে অতিথিদের তালিকা তৈরি করে সম্মেলনের কার্ড পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, এবারের সম্মেলন এমন একসময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেটিকে দলের রাজনৈতিক বাঁকবদলের ঐতিহাসিক কাল হিসেবে দেখা হচ্ছে। নতুন কমিটির ওপর নির্ভর করছে আওয়ামী লীগের আগামী দিনের রাজনীতি। তাই নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার নেতৃত্ব আসবে আওয়ামী লীগে। চলমান শুদ্ধি অভিযান এবং পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহে সেই বার্তাই দিয়েছেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আশপাশের এলাকাসহ মূল মঞ্চটি এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে, দেখলে মনে হবে, যেন পদ্মা নদীর বুকে ভেসে বেড়াচ্ছে বিশাল এক নৌকা। সেই নৌকার চারপাশজুড়ে থাকছে প্রমত্ত পদ্মার বিশাল জলরাশি। এর মধ্যে থাকছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুও। এছাড়া পদ্মার জলতরঙ্গ, পদ্মার বুকে ঘুরে বেড়ানো ছোট ছোট নৌকা, এমনকি চরের মধ্যে কাশবনের উপস্থিতিও থাকবে। মহান বিজয়ের মাসে আয়োজিত এ সম্মেলনে জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতিও থাকবে। এর পেছনে থাকবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার ছবি। নৌকার পেছনের দিকে থাকবে জাতীয় চার নেতাসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামে বিভিন্ন সময়ে অবদান রাখা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছবি। এছাড়া সম্মেলনস্থলে সরকারের বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের ফেস্টুন ও উন্নয়নের ছবি থাকবে।

২০২১ সালের ১৭ মার্চ থেকে পালিত হবে মুজিববর্ষ। এর আগে ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে মুজিববর্ষের কাউন্টডাউন। আর মুজিববর্ষকে সামনে রেখে নজরকাড়া ২১তম সম্মেলন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।