চসিক প্রশাসক সুজন এখন নাগরিকদের দুঃখ- দুর্দশার কথা শুনছেন বাইকে ঘুরে ঘুরে

চসিক প্রশাসক সুজন এখন নাগরিকদের দুঃখ- দুর্দশার কথা শুনছেন বাইকে ঘুরে ঘুরে
নাগরিকদের দুঃখ- দুর্দশার কথা শুনছেন বাইকে ঘুরে ঘুরে

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

মানুষের দুঃখ- দুর্দশাগ্রস্ত , অসহায় মানুষ যে কষ্টের কথা জানার জন্যই বাইক কিনেছি। আমি ৫টার পর চসিকের গাড়ি ছেড়ে দিই। এরপর নিজের গাড়ী ব্যবহার করি। এখন বাইকে করে নগরের অলিগলিতে ঘুরে ঘুরে নগরবাসীর অভিযোগ শুনছি ।

সোমবার দুপুরে নগরীর বহদ্দারহাটে আরাকান সড়কে তাঁর ঘোষিত নগরসেবায় ক্যারাভান কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুকালে  কথাগুলো বলেছেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন  ।

সুজন বলেন, নগরবাসীর দূর্ভোগ লাঘবে আমি তাৎক্ষণিক একশনে নেমেছি। যেসকল স্থায়ী সমস্যাগুলো আছে তার একটি স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা অনুসন্ধান আমি করে যাচ্ছি। পরবর্তীতে যারা মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করবেন তারা যাতে এই নির্দেশনানুযায়ী স্থায়ী সমাধান দিতে পারেন সেজন্য নগরবাসীর পরামর্শ এবং তাদের আবেদন নিবেদন আমি জ্ঞাত হতে চাই। এজন্য যেকেউ যেকোন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং এজন্য আমি মুখিয়ে আছি।  তিনি আরো বলেন, জনদূর্ভোগের যে কারণগুলো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে তা চিহ্নিত করে সুরাহা করাটা আমার কর্তব্য। সুরাহা করতে গিয়ে যে প্রতিবন্ধকতাগুলোর সম্মুখিন হবো তা অবশ্যই অতিক্রম করে যাবো। আমার এই উদ্দেশ্য পূরণে চসিকের সকল বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছি। এই নির্দেশনানুযায়ী অর্পিত দায়িত্ব পালনে কেউ ব্যর্থ হলে তাকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হবে।

তিনি নগরসেবায় ক্যারাভান কার্যবিধি সম্পর্কে বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর সড়ক ও জনপথ,ড্রেইন,ফুটপাতে যে সমস্যা বিরাজমান তা মিটিং কিংবা কমিটি গঠন করে সময়ক্ষেপন না করে সরেজমিনে মাঠে থেকে তা স্পটে সমাধান করা হবে। ক্যারাভান কার্যক্রমের অধিনে চলতি পথে ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক,নষ্ট সড়কবাতি,পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমসহ যে সকল সমস্যার কারণে নাগরিক দূর্ভোগ সৃষ্টি হয় তা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করছি। এসময় প্রশাসক পথচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাস্ক তুলে দিয়ে বলেন, আজ এর প্রথমদিন। পরবর্তীতে সপ্তাহে অন্তত একদিন এই প্রোগ্রাম নিয়ে অন্যান্য নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে যাব। প্রধান সড়কে সম্পন্ন হলে নগরের অলিগলিতে যাব। মূলত এই কর্মসূচির মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে নাগরিক সমস্যার সমাধান ও জনসম্পৃক্ততার চেষ্টা করব। শুনবো তাদের অভিযোগ ও পরামর্শ। এসময় সাধারণ মানুষের সাথে মতবিনিময় করেন প্রশাসক। তিনি তাদের অভাব-অভিযোগগুলো শুনে তা সমাধানের দিক নির্দেশনা দেন। যা পেয়ে এলাকাবাসী সন্তুষ্টি চিত্তে অভিভাদন জানান।

এসময় সাবেক কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন সাইফু, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ সফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, রাজনীতিক নিজাম উদ্দিন আহমেদ নিজু, মোরশেদ আলম, নোমান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।