তীব্র পানিসংকট সীতাকুণ্ডের পাঁচ আদিবাসী পল্লিতে

তীব্র পানিসংকট সীতাকুণ্ডের পাঁচ আদিবাসী পল্লিতে
তীব্র পানিসংকট সীতাকুণ্ডের পাঁচ আদিবাসী পল্লিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

সীতাকুণ্ড উপজেলার বারৈয়াঢালা, কুমিরা, সোনাইছড়ি, বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন ও সীতাকুণ্ড পৌরসভার আড়াই হাজার আদিবাসীর দাবি এখন একটাই—বিশুদ্ধ পানি। শুষ্ক মৌসুমে পাহাড়ি ছড়াগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় এসব এলাকায় চলছে পানির জন্য হাহাকার।

কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, ‘আমার এলাকার প্রায় ৪৫টি আদিবাসী পরিবারে পানির অভাব দেখা দিয়েছে। বিশুদ্ধ পানি দূরে থাক, খাল-বিল ও ডোবায় ময়লা পানিও পাওয়া যাচ্ছে না।’ শিগগির বৃষ্টি না হলে মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিন জানান, ‘এখানে প্রায় ২৮টি আদিবাসী পরিবার রয়েছে। দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের জন্যও তাঁরা পানি পাচ্ছেন না।’একই সমস্যা দেখা দিয়েছে সীতাকুণ্ড পৌরসভার মহাদেবপুর আদিবাসী এলাকায়। পাহাড়ে যাঁরা বাস করেন তাঁদের পানির একমাত্র উৎস হলো ঝরনা ও পাহাড়ি ছড়া। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে ছড়াগুলো শুকিয়ে যায়। যেসব ঝরনায় ক্ষীণধারায় পানির প্রবাহ ছিল সেগুলোও কয়েকদিন থেকে শুকিয়ে আছে। ছড়া, ঝরনা, নলকূপ কোথাও পানি নেই।

পৌরসভার মহাদেবপুর আদিবাসী পল্লির রূপালি ত্রিপুরা জানান, ‘ছড়ার পানি শুকিয়ে যাওয়ায়  দেড়-দুই কিলোমিটার দূর থেকে একবার পানি আনতে গেলে দিনের এক বেলা চলে যায়।’

সীতাকুণ্ড পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম বলেন, ‘পানির জন্য আমার এলাকার ৩৫টি আদিবাসী পরিবারের শিশু, নারী, পুরুষ খুবই কষ্ট করছে।’