নিজ এলাকার মানুষের কল্যানে আমাকে উৎসর্গ করবো: দিদারুল আলম এমপি

নিজ এলাকার মানুষের কল্যানে আমাকে উৎসর্গ করবো: দিদারুল আলম এমপি

মোহাম্মদ আলাউদ্দীন ।।

আলহাজ্ব দিদারুল আলম এমপি বলেছেন, নিজ নির্বাচনী এলাকায় করোনা আক্রান্ত বা করোনা রোগীদের জীবন বাঁচাতে প্রয়োজনে নিজের জীবন উৎসর্গ করবেন  ।

রোববার (৫ এপ্রিল) দুপুরে সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে করোনা-ঝুঁকি সামনে রেখে নির্মাণাধীন দেশের প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।

ঢাকায় আকিজ গ্রুপের উদ্যোগে এধরনের ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণে স্থানীয়দের বাধা দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে সাংবাদিকরা জানতে চান এই হাসপাতাল নির্মাণের ক্ষেত্রে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে আপনার করণীয় কী – এমন প্রশ্নে এমপি দিদারুল আলম বলেন, আমাদের সবার মনে রাখতে হবে, এটি একটি মহৎ চেষ্টা, অবিস্মরণীয় উদ্যোগ।

আকবরশাহ, পাহাড়তলী আংশিক, সীতাকুণ্ডবাসী তথা আমাদের সৌভাগ্য যে, করোনা মোকাবেলায় দেশের প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল আমাদের এলাকাতেই হচ্ছে। এই উদ্যোগ সফল করে দ্রুত চিকিৎসাসেবা শুরু করতে আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে এমপি দিদারুল আলম বলেন, এই হাসপাতাল হবেই হবে। এজন্য যা যা প্রয়োজন সব ধরনের সর্বাত্মক সহযোগিতা আমি করবো।

সীতাকুন্ডের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম আরো বলেন, বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হওয়া (৮ মার্চ) করোনা-রোগীটি আমি নিজেও হতে পারতাম। প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আগামি ১০-১৫ দিন পর দেশের চিত্র কী হবে বা কি হতে যাচ্ছে তা আমরা কেউ জানি না। তাই আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি থাকতে হবে এবং সব সময় সর্তক থাকতে হবে। করোনা-আক্রান্তদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ মানবিক বোধ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। নিজ এলাকায় করোনা আক্রান্ত ও করোনা-রোগীদের বাঁচাতে প্রয়োজনে নিজের জীবন উৎসর্গ করবেন বলেও জানান সরকার দলীয় এই সংসদ সদস্য।

এসময় ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিএ) পরিচালিত আধুনিক সুবিধার হাসপাতালটিও প্রয়োজন হলে করোনা-আক্রান্তদের সেবায় ব্যবহার করা যাবে বলে উদ্যোক্তাদের আশ্বস্ত করেন এমপি দিদার।

ত্রাণবণ্টন প্রসঙ্গে এমপি দিদার বলেন, যে সঙ্কট দেখা দিচ্ছে তাতে করে ৫ শ’ কিংবা ১ হাজার পরিবারকে খাদ্য-সহায়তা দিয়ে দায় সারানো যাবে না। এটিচ একটি সার্বক্ষণিক, চলমান কর্মসূচি হওয়া উচিত। চলমান পরিস্থিতিতে সবার ঘরে ঘরে প্রয়োজন অনুসারে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সীতাকুণ্ডের কোনো মানুষ না খেয়ে থাকার দৃষ্টান্ত নেই, আমি বেঁচে থাকলে আগামিতেও থাকবে না ইনশাল্লাহ। এজন্য পর্যাপ্ত চাল ও শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে বলে জানান এমপি দিদার।

এর আগে রোববার (৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নাভানা গ্রুপের প্রদত্ত সাড়ে ৬ হাজার আয়তনের অবকাঠামোটি হাসপাতাল-উপযোগী করে গড়ে তোলার অগ্রগতি পরিদর্শন করন।