ফল বিক্রেতা সেজে সাজাপ্রাপ্ত দম্পতিকে সীতাকুণ্ড থেকে গ্রেপ্তার

ফল বিক্রেতা সেজে সাজাপ্রাপ্ত দম্পতিকে সীতাকুণ্ড থেকে গ্রেপ্তার
ফল বিক্রেতা সেজে সাজাপ্রাপ্ত দম্পতিকে সীতাকুণ্ড থেকে গ্রেপ্তার

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

কখনো ফল বিক্রেতা সেজেছেন অথবা কখনো ভ্যান নিয়ে দুই দিন সড়কের ওপর আলু, বেগুন, শসা বিক্রি করেছেন । আর এভাবে রিকশাচালক ও বিক্রেতা সেজে একাধিক মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত আসামি এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সীতাকুণ্ড থানার শীতলপুর এলাকার একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পোর্ট সিটি বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহিব খান ও তার স্ত্রী দিলশাদ বেগম। ছয়টি মামলায় দণ্ডিত আসামি মুহিব খানের বিরুদ্ধে সাতটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। তিনি আকবরশাহ থানার পূর্ব ফিরোজশাহ কলোনির রেজিস্ট্রার অফিস এলাকার বাসিন্দা। অন্যদিকে সাত মামলায় দণ্ডিত দিলশাদ বেগমের বিরুদ্ধে আটটি পরোয়ানা রয়েছে।

তাদের গ্রেপ্তার করা পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই সাদ্দাম হোসেন জানান, লুঙ্গি পরে এলাকায় দুই দিন ফল বিক্রি করেছেন তিনি। ভ্যান নিয়ে দুই দিন সড়কের ওপর আলু, বেগুন, শসা বিক্রি করেছেন এএসআই বেলায়েত হোসেন। লুঙ্গি পরে আবাসিক এলাকার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের অলিগলি ঘুরে বেড়িয়েছেন তারা। আবার রিকশাচালক আর যাত্রীর আসনেও ছিলেন পুলিশ সদস্য। রিকশা ঘুরেছে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায়।

এই দম্পতিকে গ্রেপ্তারে নেতৃত্ব দেয়া আকবরশাহ থানার এসআই অর্ণব বড়ুয়া জানান, থানার এএসআই সাদ্দাম ও বেলায়েত হোসেন নানা ছদ্মবেশে এলাকায় নজরদারি চালান। ১৫ থেকে ২০ দিন তাদের অবস্থান শনাক্ত করে নজরদারি চালানো হয়। অবশেষে মঙ্গলবার সীতাকুণ্ড থানাধীন শীতলপুর এলাকার বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে গতকালই আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

এ বিষয়ে আকবরশাহ থানার ওসি জহির হোসেন বলেন, বারবার হাত ফসকে যাওয়ায় কৌশল পাল্টে রিকশাচালক ও বিক্রেতা বনে যান পুলিশ কর্মকর্তারা। দুটি মামলায় মুহিব খানের এক বছর ১০ মাস কারাদণ্ড ও ২৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড হয়। দিলশাদ বেগমের দুটি মামলায় এক বছর ১০ মাস, অনাদায়ে ২৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ডেভেলপার ব্যবসার নামে ইসলামী ব্যাংক থেকে এক কোটি ২০ লাখ টাকার ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করায় তাদের দুই বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। তাদের বিরুদ্ধে ১০টি চেক প্রতারণার মামলায় সাজা ও দুটি প্রতারণা মামলায় মোট ১১ বছর সাজা হয়। তিনটি চেক প্রতারণা মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;