ফায়ার স্টেশনগুলোর জরিপে চট্টগ্রাম নগরীজুড়ে অগ্নিঝুঁকিতে ২৯ মার্কেট, ১৩ বস্তি

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক ।।

ফায়ার স্টেশনগুলোর জরিপে চট্টগ্রাম নগরীজুড়ে অগ্নিঝুঁকিতে ২৯ মার্কেট, ১৩ বস্তি
ফায়ার স্টেশনগুলোর জরিপে চট্টগ্রাম নগরীজুড়ে অগ্নিঝুঁকিতে ২৯ মার্কেট, ১৩ বস্তি

খাতুনগঞ্জ, আসদগঞ্জ, রেয়াজুদ্দিনবাজারসহ ২৯টি মার্কেট অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া ১৩টি বস্তি এবং কলোনিও একইভাবে অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে।

নগরীর ফায়ার সার্ভিসের ৮টি স্টেশনের অধীনে জরিপ চালিয়ে এসব মার্কেটি এবং কলোনিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

অগ্নিঝুঁকিতে থাকা মার্কেটগুলোর মধ্যে রয়েছে নগরীর সর্ববৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ, আসদগঞ্জ, চাউল পট্টি, শুঁটকি পট্টিও।

এছাড়া বহদ্দারহাট হক মার্কেট, স্বজন সুপার মার্কেট, বখতেয়ার মার্কেট, নজু মিয়া হাট মার্কেট, বলিরহাট মার্কেট, ভেড়া মার্কেট, মিয়াখান নগর পুরাতন জুট মার্কেট, ওমর আলী মার্কেট, পোর্ট মার্কেট, বড় পুল বাজার, ইশা মিস্ত্রি মার্কেট, ফকিরহাট মার্কেট, নয়া বাজার মার্কেট, ফইল্লাতলি বাজার, চৌধুরী মার্কেট, চকভিউ সুপার মার্কেট, কেয়ারি শপিং মল, গোলজার মার্কেট, রিয়াজউদ্দিন বাজার, জহুর হকার মার্কেট, টেরি বাজার, তামাকুমকুন্ডি লেন, সিঙ্গাপুর সমবায় সমিতি মার্কেট, কর্ণফুলী মার্কেট।

বস্তি এবং কলোনির মধ্যে রয়েছে ২ নং গেট এলাকাধীন রেলওয়ে বস্তি এলাকা, অক্সিজেন রেল রাস্তা সংলগ্ন বস্তি এলাকা, বার্মা কলোনি, ড্রাইভার কলোনি ২নং গেট, রৌফাবাদ কলোনি, শেরশাহ কলোনি। ঝাউতলা বস্তি, আমবাগান, সেগুন বাগান বস্তি, কদমতলী রেলওয়ে বস্তি, রেলওয়ে বস্তি, কলসি দিঘির পাড় এলাকাধীন কলোনি, আকমল আলী এলাকাধীন কলোনি।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসের অধীন কালুরঘাট স্টেশন, লামার বাজার স্টেশন, বন্দর স্টেশন, ইপিজেড স্টেশন, চন্দনপুরা স্টেশন, নন্দনকানন ফায়ার স্টেশন, আগ্রাবাদ স্টেশন এবং বায়েজিদ স্টেশন এই জরিপ চালায়।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের উপ-সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন পূর্বকোণকে জানান, শহরের ফায়ার স্টেশনগুলির মাধ্যমে পুরো শহরে জরিপ চালিয়ে এসব মার্কেট এবং কলোনি চিহ্নিত করা হয়েছে। বিষয়টি মার্কেট মালিকদের অবহিত করা হয়েছে। সম্প্রতি এই জরিপ চালানো হয়।

তিনি জানান, জহুর হকার্স মার্কেটও অগ্নিঝুঁকিতে ছিল। বিষয়টি মার্কেট কর্তৃপক্ষও জানতো। কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ভাগ্যভাল যে সেখানে অগ্নিকান্ডটি গভীর রাতে ঘটেছে। দিনের বেলায় ঘটলে প্রাণহানি ঠেকানো কঠিন হত। সামনে শুষ্ক মৌসুম আসছে। এই মৌসুমে অগ্নিকান্ডের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে। মার্কেট এবং বস্তিসমূহে সাধারণ মানুষের আনাগোনা বেশি। এসব জায়গায় কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বেশি থাকে। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে সতর্ক করার পরও অগ্নিঝুঁকিতে থাকা এসব স্থাপনার মালিকরা ঝুঁকি কাটাতে যথাযথ উদ্যোগ না নেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ফায়ার সার্ভিস কোন পদক্ষেপ নিতে পারবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের একার পক্ষে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব নয়। এখানে মূলত বিল্ডিং কোড মানলেই অগ্নিঝুঁকি আর থাকে না। এক্ষেত্রে সিডিএ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তাছাড়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে নিয়ে সমন্বিতভাবে আইনি পদক্ষেপ নিলে এসব স্থাপনাকে ঝুঁকিমুক্ত করা সম্ভব।