বরিশালের কীর্তনখোলায় তেলের ট্যাংকারের আগুনে ছেলের মৃত্যুর পর মারা গেলেন বাবা

বরিশালের কীর্তনখোলায় তেলের ট্যাংকারের আগুনে ছেলের মৃত্যুর পর মারা গেলেন বাবা
বরিশালের কীর্তনখোলায় তেলের ট্যাংকারের আগুনে ছেলের মৃত্যুর পর মারা গেলেন বাবা

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ।।

বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকারের ইঞ্জিন রুমে ভয়াবহ বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে নিহত হন সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ ফারদিন আরাফাত স্বাধীন (২৪)। তার মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠার আগেই চার দিনের মাথায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন থাকা স্বাধীনের বাবা কুতুব উদ্দিন (৬০)।

গত রোববার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত কুতুব উদ্দিন উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের নিউ রাজাপুর গ্রামের মৃত ছালে আহমদের ছেলে। কুতুব উদ্দিনের শ্যালক ফোরকান জানান, তার বোন জামাই তেলবাহী এমটি ইবাদি–১ জাহাজের ইঞ্জিন রুমে সুয়ানি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চট্টগ্রাম থেকে সাড়ে তিন লাখ লিটার পেট্রোল ও ১০ লাখ লিটার ডিজেল নিয়ে গত ৯ মে বরিশালে যায় ট্যাংকারটি। চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার সময় সাগর দেখবে বলে স্বাধীনও বাবার সঙ্গে যায়। বিস্ফোরণে স্বাধীনের মৃত্যু হয়। তিনি আরো বলেন, ভাগনে স্বাধীনের মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে তার মা। ছেলে হারানোর শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই স্বামীর মৃত্যুর সংবাদে বারবার জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে সে।

কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ হোসেন চৌধুরী বলেন, বিস্ফোরণে বাবা–ছেলের মৃত্যুর ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকাবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

গত ১১ মে (বৃহস্পতিবার) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে নোঙর করে রাখা জাহাজের তেলবাহী ট্যাংকারে ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণ হয়। এতে ট্যাংকারের শ্রমিক বাবুল কান্তি দাস (৬৪) ও স্বাধীন (২২) ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;