ভারতীয় নারী গায়ত্রীর সাথে বাবুলের পরকীয়ার জেরে মিতু খুন , খুনি পান ৩ লাখ টাকা 

ভারতীয় নারী গায়ত্রীর সাথে বাবুলের পরকীয়ার জেরে মিতু খুন , খুনি পান ৩ লাখ টাকা 
মিতুকে খুন হয় বাবু্লের পরকীয়ার জেরে, খুনি পান ৩ লাখ টাকা 

বিশেষ প্রতিবেদক ।।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায় , আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত ভারতীয় নারী গায়ত্রী অমর সিংয়ের সঙ্গে পরকীয়ার জেরে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে খুন করান। এ জন্য খুনিকে তিন লাখ টাকা দেন।

মিতুকে খুনের মিশনে নেতৃত্ব দেন বাবুলের সোর্স কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা। সঙ্গে ছিল আরও ছয়জন। হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল মুসাকে ফোনে গা ঢাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন। আর নিজেকে আড়ালে রাখতে প্রচার করেন-জঙ্গিরাই মিতুকে খুন করেছে।

এমন তথ্য উঠে এসেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অভিযোগপত্রে। গত সোমবার (২২ আগস্ট) রাতে এই অভিযোগপত্র রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মো. ফখরুদ্দিনের কাছে জমা দেওয়া হয়। নয় পৃষ্ঠার মূল অভিযোগপত্রের সঙ্গে দশ খণ্ডের নথি সংযুক্ত করা হয়েছে। এতে সম্মতি দিয়ে সই করেছেন পিপি।

বুধবার (২৪ আগস্ট) অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার কথা জানান পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক। তিনি বলেন, অভিযোগপত্র প্রস্তুত। তবে আদালতে দাখিল করতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।

অভিযোগ পত্রে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে, যিনি এই মামলার বাদী। বাকি ছয় আসামি হলো-কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, খাইরুল ইসলাম কালু ও শাহজাহান মিয়া।

হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয় যেভাবে

পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ২০১৩ সালে কক্সবাজার জেলা পুলিশে কর্মরত থাকার সময় বাবুলের সঙ্গে একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার অধীনে কর্মরত ভারতীয় নারী গায়ত্রী অমর সিংয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

গায়ত্রী বাবুলকে আহমেদ রশিদ রচিত ইংরেজি ভাষার তালিবান নামে একটি বই উপহার দেন। ওই বইয়ের তৃতীয় পাতায় গায়ত্রী অমর সিংয়ের নিজের হাতের লেখায় এবং শেষ পাতা ২৭৬ এর পরের খালি পাতাটিতে বাবুল আক্তারের হাতে লেখা ইংরেজিতে তাদের প্রথম সাক্ষাতের বিষয়সহ কিছু তথ্য লেখা আছে।

এ ছাড়া নিহত মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করেছিলেন, বিদেশি নাগরিক গায়ত্রী অমর সিংয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন বাবুল আক্তার। বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর মিতুর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়। এর জের ধরে বাবুল আক্তার পরিকল্পিতভাবে লোক ভাড়া করে মিতুকে খুন করেন।

এই তথ্যের সূত্র ধরে মামলার তদন্ত শুরু করে পিবিআই। তদন্তে মোশাররফের অভিযোগের সত্যতা মেলে। মামলার আলামত হিসেবে উপহার পাওয়া বাবুল আক্তারের একটি বই জব্দ করে। পরে গত ৭ মার্চ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে বাবুল আক্তারের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বিশেষজ্ঞের মতামতের ভিত্তিতে পিবিআই নিশ্চিত হয় যে, বইয়ের পাতায় লেখাগুলো বাবুল আক্তারেরই।

এ ছাড়া বাবুল আক্তারের বাসার আশপাশের প্রতিবেশী ও ঘনিষ্ঠ লোকজনের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে এবং তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছি। ডকুমেন্ট এবং ডিজিটাল এভিডেন্সের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত সম্পন্ন করে অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করছি।

মিতু হত্যায় তিন লাখ টাকা দেন বাবুল

পরকীয়ার জেরে সংসারে অশান্তি শুরুর পর বিশ্বস্ত সোর্স মুসাকে দিয়ে মিতুকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তারই অংশ হিসেবে বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার সাইফুলের মাধ্যমে মুসার কাছে তিন লাখ টাকা পাঠানো হয়। সাইফুল আদালতে জবানবন্দিতে বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

হত্যাকাণ্ডে মুসা ছাড়াও ছিলেন মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, খাইরুল ইসলাম কালু, শাহজাহান মিয়া, নুরুন্নবী ও রাশেদ। আর বাবুল আক্তারের নির্দেশে মুসাকে অস্ত্রের যোগান দিয়েছিল এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া।

২০২১ সালের ২১ অক্টোবর পিবিআই ভোলাইয়াকে গ্রেফতার করে। ২৩ অক্টোবর ভোলাইয়া আদালতে জবানবন্দিতে দিয়ে জানায়, মুসার মাধ্যমে ২০০৮ সালে তৎকালীন সহকারী পুলিশ কমিশনার বাবুল আক্তারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। মুসা ছিলেন বাবুল আক্তারের বিশ্বস্ত সোর্স।

এর কয়েকবছর পর একদিন মুসা ভোলাকে বলে, বাবুল আক্তারের সঙ্গে তার স্ত্রীর ঝামেলা আছে। বাবুল আক্তার বলেছেন তাকে ফিনিশ করে দিতে-জবানবন্দিতে এমন তথ্য দিয়ে ভোলা আরও জানায়, মিতুকে খুনের কাজে মুসাকে সাহায্য করতে রাজি না হওয়ায় বাবুল আক্তার তাকে জিইসি মোড়ে মেরিডিয়ানের সামনে ডেকে নিয়ে বলেন, মুসাকে তিনি একটা কাজ দিয়েছেন, ভোলা সাহায্য করতে না পারলেও যেন বাধা না দেয়, বাধা দিলে তার সমস্যা হবে। এতে ভয় পেয়ে যান ভোলা। ওইদিন বাবুল আক্তারের সঙ্গে মুসা এবং ওয়াসিমও ছিল।

ভোলার দাবি, কয়েকদিন পর বাবুল আক্তারের দেওয়া টাকায় মুসা অস্ত্র সংগ্রহ করে। ভোলার তথ্য মতে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে মুসা ভোলাকে বার বার ফোন দিতে থাকে। তবে ভোলা ফোন ধরেননি। সকাল ১১টার দিকে ব্যবসায়িক কাজে খাতুনগঞ্জের শাহজালাল ব্যাংকে গিয়ে টেলিভিশনে দেখেন, পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে হত্যা করা হয়েছে। তখন ভোলা মুসাকে ফোন করেন, কিন্তু ফোন বন্ধ ছিল। বিকেলে মুসা ভোলার অফিসে গিয়ে অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। সে ভোলাকে বলে, তার কোনো উপায় ছিল না। সে যদি মিতু ভাবিকে না মারত, তাহলে বাবুল আক্তার তাকে ক্রসফায়ার দিত।

এ সময় মুসা ভোলার অফিসে একটি কাপড়ের ব্যাগ রেখে চলে যায়। ওইদিনই তার কেয়ারটেকার মনির এসে ব্যাগটি নিয়ে যায়। ভোলার তথ্যে ডিবি পুলিশ মনিরের বাসা থেকে ব্যাগটি উদ্ধার করে। সেখানে একটি অস্ত্র ছিল। ২০১৬ সালের ২৮ জুন পুলিশ ভোলাইয়া ও মনিরের হেফাজত থেকে পয়েন্ট ৩২ বোরের পিস্তলটি উদ্ধার করেছিল।

সূত্র মতে, হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল আক্তার ফোন করে মুসাকে গা ঢাকা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। এ সংক্রান্ত কলরেকর্ড পিবিআই সংগ্রহ করেছে। তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, বাবুল আক্তারই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী এবং নির্দেশদাতা। তিন লাখ টাকার চুক্তিতে লোক ভাড়া করে বাবুল আক্তার এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেন।

অভিযোগপত্রে চারজনকে অব্যাহতি

মিতু হত্যার পর মামলায় গ্রেফতার হওয়া চারজনকে অভিযোগপত্রে অব্যাহতি দিয়েছে পিবিআই। এরা হলেন-সাইদুল ইসলাম সিকদার সাক্কু, নুরুন্নবী, রাশেদ ও গুইন্যা। সাইদুল ও গুইন্যার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় তাকে অভিযোগপত্রে বাদ দেওয়া হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর গ্রেফতার নুরুন্নবী ও রাশেদ পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যান।

গ্রেফতার ভোলাইয়া, ওয়াসিম ও আনোয়ার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে মিতু হত্যার দায় স্বীকার করেছে। মামলার আসামিদের মধ্যে মুসা ও কালু পলাতক বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। কারাগারে আছেন-বাবুল আক্তার, ওয়াসিম, শাহজাহান মিয়া ও আনোয়ার হোসেন। ভোলাইয়া জামিনে আছে।

হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই নিখোঁজ মুসা। তার স্ত্রী পান্না আক্তারের দাবি, মুসাকে হত্যাকাণ্ডের পর ২০১৬ সালের ২২ জুন প্রশাসনের লোকজন তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর খোঁজ মিলছে না। মিতু হত্যা মামলায় মুছার স্ত্রী পান্না আক্তার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। অভিযোগপত্রে মোট ৯৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

তদন্তে সন্তুষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী

মিতু হত্যা মামলার অভিযোগপত্রের সাক্ষ্যস্মারক রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরীর কাছে জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক।

পিপি ফখরুদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, খুবই ভালো তদন্ত হয়েছে। একেবারে নির্মোহ, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত। তদন্তে বাদ পড়েছে এমন কিছু আমার চোখে পড়েনি। গুরুত্বপূর্ণ এই ফৌজদারি মামলায় বাদীকেই অপরাধের সঙ্গে সংযুক্ত হিসেবে প্রমাণ করার ক্ষেত্রে এবং তার সঙ্গে যুক্তদের অপরাধ অভিযোগপত্রে প্রমাণের ক্ষেত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং তদারক কর্মকর্তা যথেষ্ট দায়িত্বশীলতা ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন।

মামলার আদ্যোপান্ত

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন হন মিতু। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তভার পায় চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে এ মামলার তদন্তভার পড়ে পিবিআইয়ের ওপর। এরপর জট খুলতে থাকে চাঞ্চল্যকর এই মামলার।

২০২১ সালের ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। পরদিন (১২ মে) বাবুল আক্তারের মামলায় আদালতে ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। যাতে উল্লেখ করা হয়-তদন্তে ঘটনার সঙ্গে বাদী বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।

একইদিন দুপুরে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন-কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, খাইরুল ইসলাম কালু, সাইদুল ইসলাম সিকদার সাক্কু এবং শাহজাহান মিয়া।

পিবিআই হেফাজতে থাকা বাবুল আক্তারকে ১২ মে মোশাররফের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর আদালতে দেওয়া ভোলাইয়া, বাবুলের ঘনিষ্ঠ সাইফুল হক, গাজী আল মামুন, মোকলেসুর রহমান ইরাদ এবং আসামি মুসার স্ত্রী পান্না আক্তারের জবানবন্দিতে বাবুলের সম্পৃক্ততার তথ্য আরও জোরালো হয়।

তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া এসব জবানবন্দির এক পর্যায়ে নিজের মামলায় পিবিআইয়ের দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি আবেদন দাখিল করেন বাবুল আক্তার। ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর শুনানি শেষে আদালত বাবুল আক্তারের নারাজি আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন।

একইসঙ্গে পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করে পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদনও প্রত্যাখ্যান করে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন আদালত। ফলে মোশাররফ হোসেনের দায়ের করা মামলাটির পাশাপাশি করা বাবুল আক্তারের মামলাটিও সক্রিয় হয়ে যায়। দুই মামলার সমান্তরাল তদন্তভার এসে পড়ে পিবিআইয়ের ওপর।

ওই বছরের ২৩ ডিসেম্বর বাবুল আক্তারকে তার নিজের মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে বাবুলকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন।

এরপর ২৫ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের পর্যবেক্ষণ মেনে মোশাররফের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। একইসঙ্গে ওই মামলার ডকেট প্রথম মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করে তদন্তের জন্য আবেদন করেন। আদালত অনুমতি দিলে শুধুমাত্র বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলাটির তদন্তই চলমান থাকে। সময়ের আলো

খালেদ / পোস্টকার্ড ;