মানবেতর জীবন যাপনের মধ্যে দিয়ে ‍সজলের লেখাপড়ার গল্প! - মোহাম্মদ গিয়াসুদ্দীন

মানবেতর জীবন যাপনের মধ্যে দিয়ে ‍সজলের লেখাপড়ার গল্প! - মোহাম্মদ গিয়াসুদ্দীন
মানবেতর জীবন যাপনের মধ্যে দিয়ে ‍সজলের লেখাপড়ার গল্প!

সি.সি.সি উচ্চবিদ্যালয়ের এক মেধাবী ছাত্রের নিদারুন মানবেতর জীবন যাপনের মধ্যে দিয়ে অদম্য সাহস নিয়ে লেখাপড়ার গল্প!
এবার এস এস সি পরিক্ষায় A+ পেয়েছে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে-

পি, এস, সি ৪.৭৩ এবং জে,এস,সি A+ নিয়ে পাশ করা এই ছাত্র। ৮/৮/২০১৮ তার বাড়ীতে গেলাম কি ভাবে সে লেখপড়া করে দেখতে, বাড়ীত নয় যেন একটি ঝুপড়ি ছাউনি, আছে শুধু চারিদিকে প্লাস্টিক ঘেরা। নিজের কোন জায়গা জমি নেই বার্ষিক খাজনা দিয়ে ভাড়া থাকে। নেই কোন বিদ্যুৎ জিজ্ঞাস করলাম কি ভাবে চলে লেখাপড়া বেশী ভাগ সময় দিনের বেলায় পড়ালেখা শেষ করি কারণ অনেক সময় কেরোসিন কিনার টাকা থাকেনা। বাবা আছেন অসুস্থ, মা ধান খোলায় কাজ করেন মায়ের আয় দিয়ে এবং প্যাসিফিক ফাউন্ডেশন সার্বিক সহতায় তার এবং চার ভাই বোনের লেখাপড়া চলে। দুবোন আর সে পড়ে সিসিসি উ/বি এক ভাই পড়ে ডিডিটি প্রাইমারি। কথা বললাম পাশের বাড়ীর এক দিদির সাথে যার ঘরে বিদ্যুৎ আছে অর্থাৎ তার ঘরে একটি বিদ্যুৎ লাইট দেওয়া যাই কিনা তিনি আশ্বাস দিলেন স্বামীর সাথে কথা বলবেন,আমাকেও বললেন আপনি ও একটু বলবেন। রাত্রে ১০ টায় উনার সাথে কথা বললাম মনে হল উনার উত্তরে সম্ভব নয়। আমি নিজে ও শিক্ষক মণ্ডলী, পরিচালনা পরিষদ খাতা কলম স্কুল ড্রেস কিছু কিছু সাহায্য করে আসছি কিন্তু তার বাড়ীতে গিয়ে দেখলাম এই সাহায্য তার জন্য কিছুনা।এই ভাবে মানুষ জীবন যাপন করে অদম্য সাহস নিয়ে তার মা যে তাদের কে লেখা পড়া করাচ্ছে আমি ভাবতে পারছি না। তাই আমি তাকে সাহস দিলাম সাহস দিলো আমার সহকর্মী অরুণ কান্তি দাস তোকেই এক দিন বড় মানুষ হতে হবে আর এই বড় মানুষ হতে হলে তোর একমাত্র অবলম্বন ভালো লেখা পড়া। এই ছাড়া আর কোন উপায় নেই তোর এই সংসারের সবার মুখে হাসি দেখার। সবাই দোয়া /আর্শিবাদ করবেন এই ছাত্রের এবং এই পরিবারটির জন্য।

ছাত্রের নাম: সজল চন্দ্র দাস, পিতা: সন্তোষ চন্দ্র দাস, মাতা: নন্দ রাণী দাস, শুকলাল হাট( কলমিলতা ক্লাবের দক্ষিণ পাশ্বে), বাড়বকুন্ড,সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম।
লেখাটি লিখেছিলেন Sanjib Kumar Dey প্রধান শিক্ষক সি.সি.সি উচ্চবিদ্যালয় আরো ২ বছর আগে।ধন্যবাদ।
আমরা আনন্দ এর সহিত জানাচ্ছি এই সজল এবার এস এস সি পরিক্ষায় A+ পেয়েছে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে।

লেখক. সমাজকর্মী  , সুত্র. ফেসবুক ।