মীরসরাই রেড ক্রিসেন্ট ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রটি এখন গোয়াল ঘর

মীরসরাই প্রতিনিধি ।।

মীরসরাই রেড ক্রিসেন্ট ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রটি এখন গোয়াল ঘর

চট্টগ্রামের মীরসরাই ১৬নং সাহেরখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মঘাদিয়া রেড ক্রিসেন্ট ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রটি গোয়াল ঘরে পরিণত হয়েছে।

১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলে ভয়াল ঘূর্ণিঝড়ে কয়েক লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ভয়াবহ এই দুর্যোগের পর দেশ বিদেশের বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে সারাদেশের মতো মীরসরাইয়ে সাহেরখালী ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়।

কেন্দ্রটি ১৯৯৫ সালের ১৮ জানুয়ারি তৎকালীন চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনের সংসদ সদস্য এমএ জিন্নাহ উদ্বোধন করেন।

১৯৯৭ সালসহ বিভিন্ন সময়ে বিপদ সংকেত দেখা দিলে উক্ত আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষজন আশ্রয় নিতেন। বর্তমানে এলাকার প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রটি গোয়াল ঘর হিসেবে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের প্রায় অংশজুড়ে বাঁশের ঘেরা দিয়ে অবাধে গরু লালন পালন করা হচ্ছে। এছাড়াও উপরে গরুর খাদ্য খড়কুড়ো রাখা হয়েছে। অথচ তার পাশের দক্ষিণ মঘাদিয়া ঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয়ে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। গরুর ময়লা আবর্জনার গন্ধে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দ্রুত এই সমস্যার আশু সমাধান চান। দক্ষিণ মঘাদিয়া ঘোনা আশ্রয় কেন্দ্রের সভাপতি মফিজুর রহমান বলেন, আমি তাদেরকে বার বার নিষেধ করা সত্বেও তারা আমার কথা শুনেননি। উল্টো আমাকে কটূক্তি করেছেন।

উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির টিম লিডার সাইফুল্লাহ দিদার বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। তাদেরকে নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। না হয় আইনা্ল্ল্লনুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা কমিটির কাছে সুপারিশ করব।