রাজশাহীতে খুন করে সীতাকুণ্ডে আত্মগোপন, বাবা-মা-ছেলে গ্রেফতার

রাজশাহীতে খুন করে সীতাকুণ্ডে আত্মগোপন, বাবা-মা-ছেলে গ্রেফতার
রাজশাহীতে খুন করে সীতাকুণ্ডে আত্মগোপন, বাবা-মা-ছেলে গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ , পোস্টকার্ড ।।

রাজশাহীতে প্রতিবেশী মুকুল আলীকে (৪৫) খুন করে চট্টগ্রামে এসে আত্মগোপনে থাকা এক দম্পতি ও তাদের ছেলেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। হত্যাকাণ্ডের ১২ দিন পর শনিবার (১৩ আগস্ট) রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার মাদাম বিবিরহাট ও উত্তর সলিমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার তিনজন হলেন-বকুল আলী (৪৫) ও তার স্ত্রী মোসাম্মৎ আমেনা (৪০) এবং ছেলে নাহিদ হোসেন (২০)। তাদের বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর শাহ মখদুম থানার হরিষার ডাইং এলাকায়।

রোববার (১৪ আগস্ট) দুপুরে র‌্যাব-৭ এর উপ অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ রেজোয়ানুর রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় উচ্চশব্দে গান বাজাতে নিষেধ করায় প্রতিবেশী মুকুল আলীকে মাথায় আঘাত ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।

র‌্যাবের তথ্যমতে, গত ১ আগস্ট রাতে তাদের প্রতিবেশী মুকুল আলী (৪৫) খুন হন। এ ঘটনায় রাজশাহী মহানগর পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করে। এরা হলেন-বকুল আলীর মেয়ে খাদিজা, ভাইয়ের ছেলে মিঠুন ও মোমিন এবং আত্মীয় সোহেল ও পলাশ।

ঘটনার রাতেই বকুল তার স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে চলে আসেন। বকুল ও নাহিদ পেশায় নির্মাণ শ্রমিক। চট্টগ্রামে এসে তারা একই পেশায় যুক্ত হন। উত্তর সলিমপুর এলাকায় দুই রুমের টিনশেড একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা তাদের অবস্থান শনাক্ত করি। বকুল ও নাহিদকে মাদাম বিবিরহাট এলাকায় কৌশলে এনে গ্রেফতার করি। আমেনাকে সলিমপুরের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাবের ভাষ্য, ঘটনার রাতে নাহিদ তার ঘরে উচ্চশব্দে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে গান শুনছিলেন। নিহত মুকুলের মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় এতে তার ঘুমের ব্যাঘাত হয়। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থবোধ করতে থাকেন। মুকুল গিয়ে নাহিদকে উচ্চশব্দে গান বাজানো বন্ধের কথা বলেন। নাহিদ তখন শব্দ কমিয়ে দিলেও মুকুল চলে যাবার পর আবারও উচ্চশব্দে গান চালু করেন।

মুকুল আবার গিয়ে এর প্রতিবাদ করলে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে বকুল ও তার স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়ে মিলে মুকুলের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। এরপর তাকে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত করা হয়। মুকুলের চিৎকার শুনে ছেলে শাহীন আলম ও জামাতা আলমগীর সেখানে গেলে তাদেরও ছুরিকাঘাতে জখম করা হয়।

আহত মুকুলকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। এ ঘটনায় মুকুলের ছেলে শামীম ইসলাম বাদী হয়ে শাহ মখদুম থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;