সীতাকুণ্ডে আবারো ভরাট হচ্ছে শতবর্ষী পুকুর, প্রভাশালীরা গিলে খাচ্ছে পুকুর-জলাশয়

সীতাকুণ্ডে আবারো ভরাট হচ্ছে শতবর্ষী পুকুর, প্রভাশালীরা গিলে খাচ্ছে পুকুর-জলাশয়
সীতাকুণ্ডে আবারো ভরাট হচ্ছে শতবর্ষী পুকুর, প্রভাশালীরা গিলে খাচ্ছে পুকুর-জলাশয়

মুহাম্মদ আলাউদ্দীন।।

প্রতিনিয়ত দেশে পুকুর-জলাশয় ভরাট হচ্ছে। যদিও পুকুর, ডোবা, খাল-বিল-নদী, কৃত্রিম ও প্রাকৃতিক জলাধার ভরাট করার ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদফতরের অনুমোদন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে কিন্তু সেটাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে একে একে ভরাট করে হচ্ছে পুকুর-জলাশয় ইত্যাদী। অবশ্য সীতাকুণ্ডে পুকুর ভরাট নতুন না । আস্তে আস্তে সীতাকুণ্ডের প্রায় পুকুর প্রভাশালীরা গিলে খাচ্ছে। 

ঠিক তেমনি সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর এলাকায় পরিবেশ আইন অমান্য করে ভরাট করা হচ্ছে শতবর্ষী আরেক পুকুর।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন শীতলপুর মদনহাটে অবস্থিত শতবর্ষী মদনপুকুরখ্যাত এই পুকুরে বালি ফেলে ভরাট করছে প্রভাবশালী মহল। প্রায় ৫০ শতকের পুরোনো পুকুরটি ভরাট হয়ে পড়ায় সুপেয় পানি ও পরিবেশ ভারসাম্য নষ্টের আশংকা করছেন এলাকাবাসী।

অথচ পুকুর ভরাটের কারনে মাছ ও সুপেয় পানির সংকটের আশংকা দেখা দিলেও নেই নজরধারী। তাছাড়া এ বিষয়ে একেবারেই নির্বিকার সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শীতলপুর মদনহাটের শতবর্ষী মদন পুকুরটি বালি ফেলে ভরাট কাজ সারছেন। পরিবেশ ভারসাম্যর কথা না ভেবে আইনের তোয়াক্কা না করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে দিনে-দুপুরে চলছে পুকুর ভরাট। এ অবস্থায় পানীয় জলের চরম সংকট তৈরী হওয়ায় চলছে এলাকাজুড়ে চলছে পানির জন্য হাহাকার।

স্থানীয়রা বলেন, এলাকার হাজার-হাজার মানুষের অসুবিধার কথা না ভেবেই পুরোনো একমাত্র পুকুরটি ভরাট করছে স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন। পানির চরম সংকটের মধ্যে স্থানীয় পানির চাহিদা পূরন করছে পুকুরটি। নলকুপগুলোতে পানির চরম সংকট দেখা দেয়ায় পানির হাহাকার চলছে এলাকাজুড়ে। জনগনের সমস্যার কথা না ভেবে ব্যবসার উদ্দেশ্যে পুকুরটি ভরাট করা হচ্ছে বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল ইসলাম বলেন,‘ পুকুর ভরাটের খবর পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।