ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় সীতাকুণ্ডে প্রস্তুতি সম্পন্ন

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় সীতাকুণ্ডে প্রস্তুতি সম্পন্ন

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি।। 

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আঘাত হানার আগেই সীতাকুণ্ড উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নিতে ৭৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব মেনে উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে রাখা হবে। গতকাল সোমবার সকাল থেকেই উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে ঘর-বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিতে মাইকিং চলছে। গতকাল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান ইউএনও মিল্টন রায়।

তিনি জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদের নেতৃত্বে ১৫টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত আছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরে ২২০০০ পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুদ রয়েছে। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন ও প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুদ আছে। স্বেচ্ছাসেবক দল সিপিপি’র ৬৩টি ইউনিটে ১৫ জন করে ৯৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও দুর্যোগে অন্যান্য সহায়তার জন্য সীতাকুণ্ড থানার পুলিশ, আনসার ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স প্রস্তুত। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১টি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত আছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সাথে যোগাযোগ রাখা হয়েছে, তাঁরা সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসনকে যেকোন ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত। উপজেলা প্রশাসনের কাছে রয়েছে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার।

তিনি জানান, আশ্রয়কেন্দ্রে মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। উপজেলায় সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য খোলা কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর ০৩০২৮৫৬০১১, মোবাইল নম্বর : ০১৮৩৭৭১১৪৫০, ০১৮১৯৮১৮৭২৭।

তিনি জানান, মাঠের ফসল যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতরকে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিতে তাগিদ দেয়ার পাশাপাশি পাকা ধান দ্রুত কেটে বাড়ি নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।