সীতাকুণ্ডে যুবতীকে হোটেলে এনে দু’দিন ধরে ‘গণধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৭

সীতাকুণ্ডে যুবতীকে হোটেলে এনে দু’দিন ধরে ‘গণধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৭

সীতাকুণ্ড  প্রতিনিধি।।

স্বামী পরিত্যক্তা এক যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে ৬ বন্ধু। শনিবার বিকেল থেকে রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত সীতাকু-ের জলসা আবাসিক হোটেলে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় হোটেল ম্যানেজারসহ ৭ জনকে আটক করেছে। সোমবার থানায় মামলা করার সময় ধর্ষিতা ওই যুবতী অজ্ঞান হয়ে পড়লে পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে সীতাকু- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ভাটেরখীল গ্রামের রাজমিস্ত্রি আবুল কাশেমের ছেলে নয়নের (২২) সঙ্গে মিরসরাইয়ের গাছবাড়িয়া এলাকার এক স্বামী পরিত্যক্তা যুবতীর (১৮) এক মাস আগে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের পরিচয় হয়। সম্প্রতি ওই যুবতীকে বেড়ানোর প্রস্তাব দিলে তাতে সম্মত হয়ে সে শনিবার সীতাকুন্ডে এসে উপস্থিত হলে প্রেমিক নয়ন ও তার বন্ধুরা তাকে গুলিয়াখালী সি-বিচসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে রাতে পৌরসদর ডিটি রোডের জলসা হোটেলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে দু’দিন প্রেমিক নয়ন ও তার পাঁচ বন্ধু তাকে টানা ধর্ষণ করতে থাকে। সোমবার সকালে ওই যুবতী কৌশলে তাদের কাছ থেকে পালিয়ে সীতাকুন্ড মডেল থানায় গিয়ে বিষয়টি জানালে পুলিশ হোটেল জলসা ও পৌরসদরের বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ছয় ধর্ষণকারীসহ হোটেল ম্যানেজারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

আটককৃতরা হল, সীতাকুন্ডের মুরাদপুর ইউনিয়নের ভাটেরখীল গ্রামের মো. নুর নবীর ছেলে মোহাম্মদ আলীম হোসেন (২২), গুলিয়াখালী খালিদ মেম্বারের বাড়ির মোহাম্মদ জামাল উল্লাহ মোহাম্মদ রিফাত (১৯), দক্ষিণ ভাটেরখীল গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে মোহাম্মদ ইমন ইসলাম (২০), একই এলাকার নেছার আহমেদের ছেলে রণি (২০), জসিম উদ্দিনের ছেলে বারেক (২২), আবুল কাসেম মিস্ত্রির ছেলে নয়ন (২২) এবং জলসা হোটেলের ম্যানেজার দক্ষিণ ইদিলপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে নুর উদ্দিন (৩৮)।

থানা থেকে দুইশ গজের মধ্যে জলসা আবাসিক হোটেলটির অবস্থান। অনুসন্ধানে জানা গেছে, থানার পাশে ৫/৬টি আবাসিক হোটেল থাকলেও সেগুলোর কোন বৈধতা নেই। কোন তথ্য নেই থানাতেও।

সীতাকুন্ড মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সুমন বনিক ঘটনার কথা স্বীকার করে ব্যেলন, ধর্ষণের শিকার যুবতীটি স্বামী পরিত্যক্তা। আমরা তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করেছি। তিনি বলেন, সীতাকুন্ড পৌরসদরে ৭-৮টি অবৈধ আবাসিক হোটেল রয়েছে। অনুমোদনবিহীন এসব হোটেলে প্রায় প্রতিদিনই পর্যটকের নামে প্রেমিক-প্রেমিকা ও বিভিন্ন সম্পর্কের নারী-পুরুষ এসে ধর্ষণ বা দেহ ব্যবসার মত ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। এতদিন নির্দিষ্ট প্রমাণ না পাওয়ায় আমরা এ নিয়ে মাথা ঘামাইনি। এখন শীঘ্রই অভিযান চালানো হবে।