সীতাকুণ্ডে অপহরণ-হত্যাসহ ১০ মামলার আসামি গ্রেপ্তার

সীতাকুণ্ডে অপহরণ-হত্যাসহ ১০ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
সীতাকুণ্ডে অপহরণ-হত্যাসহ ১০ মামলার আসামি গ্রেপ্তার

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ।। 

অপহরণ-হত্যাসহ ১০ মামলার আসামি ডাকাত সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৭। গ্রেপ্তারকৃত সাদ্দাম চৌধুরীপাড়ার মো. জালাল আহম্মদের ছেলে। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে জোরামত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

র‍্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ২২ জুন সকাল ৯টায় কালাম নামে একব্যক্তি তার বন্ধুর বাসায় যাওয়ার জন্য শহর থকে বাসে উঠেন। পরে রাত ৮টায় বাসটি বারককুণ্ড বাজারে গিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। এ সময় তিনি চা খাওয়ার জন্য পাশের একটি দোকানে গেলে কয়েকজন লোক তাকে জোর করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। রাত ১১টায় অপহরণকারীরা তার বড় ভাবীর মোবাইলে কল দিয়ে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে কালামকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে কালাম ও তার স্ত্রী মিলে ধার দেনা করে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে কালামের স্ত্রীকে দিয়ে বারককুণ্ডে পাঠায়। মুক্তিপণের ৮০ হাজার টাকা নিয়ে বারবকুণ্ড পৌঁছালে অপহরণকারীরা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তিনজনকে অপহরণ করে। পরদিন কালামের স্ত্রী তাদের অপহরণ করে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে বলে জানায় তার ভাবীকে। এছাড়া তারা ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি কালামের ভাই পুলিশকে জানালে পুলিশ গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করে। পরে এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

অপরদিকে, গত ২২ জুলাই সকালে নুর আবছার ওরফে এরশাদ নামে একব্যক্তি তার কলাবাগানে কাজের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। একইদিন সকাল ১১টায় এরশাদের চাচা কেরাইরঘা নাম এলাকায় নূর আবছারের মরদেহ দেখতে পান। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, এ মামলার প্রধান আসামি ডাকাত সাদ্দাম সীতাকুণ্ডের জোরামতল এলাকায় তার ভাড়া বাসায় অবস্থান করছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল দুপুরে অভিযান চালিয়ে সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। সাদ্দামের নামে সীতাকুণ্ড থানায় ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণসহ ১০টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার আসাামিকে সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

খালেদ / পোস্টকার্ড;