সীতাকুণ্ডে কবির ষ্টীলের গাড়ির ধুলোয় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী, প্রতিবাদে লোহার ড্রাম ফেলে সড়ক অবরোধ

সীতাকুণ্ডে কবির ষ্টীলের গাড়ির ধুলোয় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী, প্রতিবাদে লোহার ড্রাম ফেলে সড়ক অবরোধ
সীতাকুণ্ডে কবির ষ্টীলের গাড়ির ধুলোয় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী, প্রতিবাদে লোহার ড্রাম ফেলে সড়ক অবরোধ

বিশেষ প্রতিবেদক।।

সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের মাদামবিবিরহাটের চেয়ারম্যান ঘাটা সড়কের আশপাশ ইস্পাত নির্মাণ শিল্প প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম’র শত শত ভারী গাড়ি চলাচলের সময় ধুলায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে চারদিক। নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হয় স্থানীয় মানুষের। অথচ এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই কোনো কার্যকর উদ্যোগ।

ধুলার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে কেএসআরএম ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী চেয়ারম্যান ঘাটা সড়কের ওপর লোহার ড্রাম ফেলে অবরোধ করেন। তাদের দাবি, সড়কে দিনে দুবার পানি ছিটাতে হবে। অন্যথায় কেএসআরএম’র গাড়ি চলাচল করতে দেয়া হবে না।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ফোন করা হলে উল্টো অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলেন কেএসআরএম’র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক করিম উদ্দিন। রীতিমতো ‘তুই-তোকারি’ সম্বোধন করে দুর্ব্যবহার করেন তিনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন শত শত ভারী গাড়ি চৌধুরী ঘাটা জাহানাবাদ এলাকায় অবস্থিত কেএসআরএম’র শিপ ইয়ার্ডে চলাচল করে। এতে পুরো সড়ক ধুলায় আচ্ছন্ন থাকে। ধুলাবালুর কারণে মানুষকে নাকে কাপড় দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। কাপড়চোপড়ও ময়লা হয়ে যায়।

দিনরাত গ্রামের সড়কটি শিপ ইয়ার্ডের দখলে থাকে। যাতায়াতে পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। শত শত গাড়ি চলাচল করলেও কখনো সড়কে পানি ছিটায় না কেএসআরএম। ধুলাবালির কারণে শ্বাসকষ্ট, এলার্জি, নিউমোনিয়াসহ জটিল রোগে ভুগছেন স্থানীয় মানুষজন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ‘দিনরাত সড়কের ধুলাবালির কারণে আমরা জটিল রোগে ভুগছি। আমরা সবাই এখন শ্বাসকষ্টের রোগী। সকাল থেকে রাত শত শত ট্রাক এখানে চলাচল করে। আমরা রিকশা নিয়ে ঢুকতে পারি না। নিজস্ব গাড়ি ঘরে রেখে বের হতে হয়। এই সড়কটি কেএসআরএমের দখলে। চেয়ারম্যান সাহেবকে কয়েকবার বলার পরও কোন ব্যবস্থা নেননি। সবাই এখানে ম্যানেজ।’ 

চেয়ারম্যান ঘাটা জাহানাবাদ এলাকার বাসিন্দা সাইফুল বলেন, রাতদিন কেএসআরএম’র গাড়ি চলাচলে সৃষ্ট ধুলায় অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে আমাদের জীবন। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। প্রচণ্ড ধুলাবালি হলেও কোন পানি সড়কে দেয়া হয় না। রাতদিন শিপ ইয়ার্ডের গাড়ি চলাচলের ফলে সড়কের অবস্থা নাজুক। পুরো সড়কজুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ। বর্ষাকালে এ সড়কটি গ্রামবাসীর গলার কাঁটায় পরিণত হয়।

জানতে চাইলে ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন বলেন, 'ধুলায় অতিষ্ঠ হওয়ার বিষয়ে কেউ কখনো আমাকে লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দেয়নি৷ অভিযোগ পেলে আমি ব্যবস্থা নেব। যারা অবরোধ করেছে, তাদের বলুন লিখিত অভিযোগ দিতে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখানে অনেক গ্রুপের অনেক স্বার্থ। আপনাকে কে কোনটা বলেছে, কেমনে জানব।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কেএসআরএম’র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক করিম উদ্দিন এ প্রতিবেদকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। 

খালেদ / পোস্টকার্ড ;