সীতাকুণ্ড গুলিয়াখালী বিচের কাঠের সাঁকো ঝুঁকিপূর্ণ, সংস্কার জরুরী

সীতাকুণ্ড গুলিয়াখালী বিচের কাঠের সাঁকো ঝুঁকিপূর্ণ, সংস্কার জরুরী
সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী বিচের কাঠের সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ, সংস্কার জরুরী

এম কে মনির ।।

সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী বিচের একমাত্র প্রবেশদ্বার কাঠের সাঁকোটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। করোনাকালেও পর্যটকদের পদভারে মুখরিত বিচে যে কোন সময় সাঁকো ভেঙে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে এখনই কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে পর্যটক ও স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কাঠের পুরাতন সাঁকো দিয়ে পারাপার  হচ্ছে পর্যটকরা। মাঝেখানে ১-২ মিটার ফাঁক।কোথাও তক্তা উদাও।পাশে ধরে চলার কোন হাতল নেই। একসাথে ১৫-২০ জনকেও উঠতে দেখা গেছে এই সাঁকোতে।কাঠের পুরাতন তক্তা পানিতে পঁচে আরো নরম হয়ে গেছে। ফলে যেকোন সময় ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।সাঁকোর নিছের খুঁটিগুলোও নড়বড়ে অবস্থা।একটু ব্যতিক্রম হলেই পা পিছলে আলুর দম।ঝুঁকিপূর্ণ  এই কাঠের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন শতশত দর্শনার্থীরা চলাচল করছে।এমতাবস্থায় সাঁকোটির সংস্কার জরুরি বলে মনে করছেন সীতাকুণ্ডের বিশিষ্ট জনেরা।

এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সদস্য সচিব লায়ন গিয়াস উদ্দিন জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা চাইলেই সাঁকোটি সংস্কার করে দিতে পারেন। সাঁকোটি সংস্কার করা হলে পর্যটকরা নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।ফলে গুলিয়াখালী আরো পযর্যটন বান্ধব হবে।

এ বিষয়ে মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদ হোসেন নিজামী বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে বৈশ্বিক কোভিড-১৯ পরিস্থিতি যেহেতু ভালো নয় সেহেতু গুলিয়াখালীতে ভ্রমণকে তিনি নিরুৎসাহিত করেছেন।

এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় বলেন, গুলিয়াখালীকে সরকার পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেনি। এটি একটি উপকূলীয় বন হওয়ায় এটি বন বিভাগের অধীনে পড়ে। সুতারাং এখানে সাঁকো সংস্কার বা নির্মাণের সুযোগ নেই