সীতাকুন্ডে আশংকাজনক হারে বাড়ছে করোনা রোগী, গত দুদিনে ৫ জনসহ মোট সনাক্ত ১২

সীতাকুন্ডে আশংকাজনক হারে বাড়ছে করোনা রোগী, গত দুদিনে ৫ জনসহ মোট সনাক্ত ১২

নিজস্ব প্রতিবেদক, সীতাকুন্ড।।

চাকরি স্থল নারায়নগঞ্জ থেকে ভাড়া বাসায় এসে জ্বরে ভোগার তিনদিন পর উপজেলার ফৌজদার হাটে অবস্থিত বি আই টি আইডি তে রক্ত পরীক্ষার পর করোনা আক্রান্ত সনাক্ত হয় এক ব্যাংক কর্মচারীর। এ ঘটনায় করোনা রোগীকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করে বাড়িটিসহ আশ-পাশের ৫টি বাড়ি লক ডাউন করে প্রশাসন। পৌরসভার সোবহান বাগের কবির মঞ্জিলে বসবাসরত ব্যাংকে কর্মরত গার্ড আনোয়ার হোসেন (৫৫) সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন। করেনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মেলা বাড়িটি লক ডাউন করার একদিন পর বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিবারের অন্য দুই সদস্য  স্ত্রী ও ছেলের নমুনা সংগ্রহ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।

প্রায় একমাস পূর্বে সীতাকুন্ডের প্রথম সনাক্ত হয় এই করেনা রোগী।

এরপর পর কুমিরা, সোনইছড়ি, সলিমপুর, ফৌজদারহাট ও পৌরসভা এলাকা হতে ৭ জন করেনা সক্রামন রোগী সনাক্ত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুইজন। এ অবস্থায় হঠাৎ গত বুধবার পৌরসভার আমিরাবাদ এলাকায় এক ব্রাক কর্মকর্তা সনাক্ত হওয়ার পর পর শুক্রবার  পৌরসভার ইদিলপুর ১, শেখ পাড়া ১, ছোটদারগারহাট ১, কুমিরা ১ ও ভাটিয়ারী এলাকায় ১ জনসহ ৫ জন রোগী সনাক্ত হওয়ায় ঝুকিপুর্ন হয়ে উঠেছে পুরো উপজেলা। দেশের বিভিন্ন জেলা হতে আগত রোগীদের কারনে করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যাই।

স্থানীয়রা বলেন,‘ শিল্প-কারখানার কারনে বিভিন্ন জেলার লোকজনের বসবাস রয়েছে সীতাকুন্ডে। এছাড়া স্থানীয়রাও নানা জায়গায় চাকুরি করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়ে বাড়ি ফেরায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে করেনা রোগীর সংখ্যা। যা খুব শীঘ্রয় মছুামারী রুপ ধারন করতে পারে বলে আশংকা করছে তারা। অথচ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নানামুখী কর্মসূচী পালন করে চলেছেন প্রশাসন। কিন্তু এরপরও জনগনের অসচেতনতায় বেড়ে চলছে করেনা রোগী।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.নুর উদ্দিন বলেন,‘ জন সচেনতার পাশাপাশী এলাকা লক ডাউন করে নেয়া হচ্ছে আইনি পদক্ষেপ। কিন্তু দেশের নানা প্রান্ত হতে রোগীদের আগমন ঘটতে থাকায় বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা রোগী। এ অবস্থা চলতে থাকলে সার্বিক পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগের হয়ে উঠতে পারে বলে জানান তিনি।