সীতাকুন্ডের সলিমপুর ফকিরহাট জেলা পরিষদ সড়কের বেহালদশা , দেখার কেউ নেই

কামরুল উদ্দীন ।।

সীতাকুন্ডের সলিমপুর ফকিরহাট জেলা পরিষদ সড়কের বেহালদশা , দেখার কেউ নেই
সীতাকুন্ডের সলিমপুর ফকিরহাট জেলা পরিষদ সড়কের বেহালদশা , দেখার কেউ নেই

সীতাকুন্ডের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সলিমপুর ফকিরহাট পোস্ট অফিস  এর পাশ দিয়ে গেছে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সড়ক । এই রাস্তার বেহাল অবস্থা। ৫ কিলোমিটার জুড়ে এই এলাকা প্রায় ৮ হাজার মানুষের বসবাস ।

জনগণের এই পথ বেয়ে যেতে দুর্ভোগ, যন্ত্রণা আর বিড়ম্বনা হয়ে উঠেছে। টানা বৃষ্টি আর পানিবদ্ধতার কারণে বেশিরভাগ সড়কই এখন চলাচলের অযোগ্য। মূল সড়ক থেকে অলিগলি সর্বত্রই একই হাল। সড়কজুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত।

স্থানীয়রা জানান, এই অঞ্চলের মানুষরা সারাবছরেরে জলবদ্ধতার কারণে জমিতে চাষ করতে পারেনা । সামান্য বৃষ্টি হলেই প্রচন্ড জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় সড়কটিতে। এরই মধ্যে ভেঙে ছোটখাট কুয়ায় পরিণত হয়েছে সড়কটির বেশ কয়েকটি অংশ। ফলে এর বেশ কিছু অংশই এখন চলাচলের উপযোগী নয়। রিক্সা, ভ্যানগুলোকে কয়েকজন ধরে নামাতে হয়। কয়েকবার আশ্বাস দিলে তা আশা পূরণ হয়নি জনগণের।

সলিমপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আজিজ জানান, মহাসড়কে ওয়াসার পাইপ ফেটে যাওয়ায় ভূপৃষ্ঠতল থেকে পানি উপরে উঠে এসেছে। পানি প্রবাহিত হওয়ায় সড়কটি বেহাল অবস্থা হয়েছে প্রায় তিনবছর আগে থেকে। দুইবার উপজেলা থেকে এই সড়কের বাজেট অনুমোদিত হলেও কিছু স্বার্থলোভী জনগণ বাধা দেওয়ার কারণে সড়কটি সংস্কার করা হয়নি। তবে এইবার কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং বৃষ্টি কম হলেই সড়কটির সংস্কার করার উদ্যোগ করবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।

স্থানীয় মেম্বার নাছির উদ্দিন জানান, কয়েকবছর আগে ৮০০ মিটার রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ করেছিলাম। বাকি অর্ধেক কাজ এখনো শেষ করতে না পারায় রাস্তার বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। চেষ্টায় চলছে পরবর্তী বাজেটে অনুমোদিত হলে বাকি কাজটি সম্পূর্ণ করবেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানান, সড়কটি টেন্ডার প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটার কাজ শুরু হবে। তবে এর আগেও একবার ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু কাজ না করে চলে যায়।

স্থানীয়রা বলছেন , এখানে বড় সমস্যা জলবদ্ধতা । মহাসড়কে ওয়াসার পাইপ ফেটে যাওয়ায় ভূপৃষ্ঠতল থেকে পানি উপরে উঠে আসছে । এটাও বন্ধ করা জরুরী , নয়তো রাস্তার কাজ করলেও সে রাস্তা টিকবেনা নষ্ট হয়ে যাবে দ্রুত ।