২৩ বছর পর জানা গেলো সালমান শাহ’র মৃত্যু হত্যা নাকি আত্মহত্যা

২৩ বছর পর জানা গেলো সালমান শাহ’র মৃত্যু হত্যা নাকি আত্মহত্যা
২৩ বছর পর জানা গেলো সালমান শাহ’র মৃত্যু হত্যা নাকি আত্মহত্যা

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক  ।।

অবশেষে দীর্ঘ ২৩ বছর পর ‍জানা গেল চিত্রনায়ক সালমান শাহ’র মৃত্যুর ‍আসল রহস্য। দীর্ঘ তদন্তের পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বলছে,সালমান শাহকে হত্যা করা হয়নি তিনি আত্মহত্যাই করেছেন।

এ বিষয়ে শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ তথ্য তুলে ধরবে এবং ওই দিনই আদালতে এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য কী কী প্রশ্ন আসতে পারে তা নির্ধারণ করে এর উত্তর তৈরি করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট দফতরের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

তারা বলেন, ‘মামলাটির তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এতটুকু বলা যায়, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন।’

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টম্বর তারিখে ১১ বি নিউ ইস্কাটন বাসায় সালমান শাহ ও তার স্ত্রী সামিরা বসবাস করতেন। সেদিন তার পিতা কমর উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী তার বাসা থেকে সিলেট যাওয়ার জন্য তার স্ত্রী নীলা চৌধুরী ও তার ছোট ছেলে নিয়ে সালমানের বাসায় যায় এবং তার স্ত্রী বলে, সিলেট যাবে মর্মে সালমান শাহ’র বাসায় যায়।

তারা বাসায় গিয়ে দেখে সালমান ঘুমাচ্ছে। পরে সিলেট রওনা হলে মাঝ পথে বাসা থেকে সেলিম নামক এক ব্যক্তি তার পিতাকে ফোন করেন এবং বলে তার ছেলের অবস্থা ভাল নয়। পরে তারা দ্রুত সালমানের বাসায় আসে।

সেখানে দেখে অপরিচিত কয়েকজন মহিলা সালমানের হাতে ও পায়ে তেল মালিশ করছে। পরে তারা তাকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে নিয়ে যায়। যাওয়ার পথে সালমানের গলায় দড়ির দাগ দেখতে পায় এবং মুখ মন্ডল,হাত ও পা নীল হয়ে গেছে।

পরে ঐ হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানের ডাক্তাররা বলেন সে আনেক আগেই মারা গেছে। সালমানকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তখন বাসায় বাদল খন্দকার, সামিরা ও বাসায় ছিল।

এ ঘটনায় রামনা থানায় সেদিনই সালমান শাহ বাবা কমর উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী অভিযোগ দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাহবুবুর রহমান মামলাটি তদন্ত করে চুড়ান্ত রিপোর্ট দেন।

সেই চুড়ান্ত রিপোর্টের আলোকে আদালত নীলা চৌধুরীকে নোটিশ পাঠালে তিনি তার আইনজীবী নিয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হন এবং মৃত্যু রহস্য উৎঘাটনের জন্য না-রাজী দরখাস্ত দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। আদালত শুনানী শেষে না-রাজী দরখাস্ত গ্রহণ করে র‌্যাব হেড কোয়াটারকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।