আই এক্কান ঘর ফাইলে প্রধানমন্ত্রীর লাই দুই হাত তুলি দোয়া গইত্তাম : সোনা মেহের

আই এক্কান ঘর ফাইলে প্রধানমন্ত্রীর লাই দুই হাত তুলি দোয়া গইত্তাম : সোনা মেহের

কক্সবাজার প্রতিনিধি।।

সোনা মেহের। উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর পুকুরিয়ায় ত্রিপলের ছাউনিযুক্ত মাটির ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন তিনি।

কক্সবাজারের আঞ্চলিক ভাষায় বিধবা সোনা মেহের বলেন, আই এক্কান ঘর ফাইলে প্রধানমন্ত্রীর লাই দুই হাত তুলি দোয়া গইত্তাম। । 

তিনি বলেন, স্বামী ফকির আহমদ মারা গেছেন। সোনা মেহেরের দুই ছেলে। কিন্তু দুজনই তাকে ছেড়ে গেছেন। বিয়ে করে অন্যত্র সংসার করছে যে যার মতো। বর্তমানে একা থাকেন সোনা মেহের। একটু খোঁজ নেওয়ার মতো কেউ নেই তার।

সোমবার সোনা মেহেরের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, জানালাবিহীন কুঁড়ে ঘরে নেই কোনো বসার মতো উপকরণ। টিনের দরজাযুক্ত ছোট ঘরটিতে নেই আলাদা রান্না ঘর। চুলায় কখনো আগুন জ্বলে তো, কখনো জ্বলে না। অন্যের ঘরে কাজ করলে জোটে দুবেলা দু-মুঠো খাবার। অন্যথায় অনাহারে চলে যায় মেহেরের জীবন।

কথা হলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, সরকার বা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে একটি ঘর আশা করার কথা জানান।

মেহের জানান, প্রতি বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায় তার থাকার ঘর। তখন মাথা গোঁজার মতো পরিবেশ থাকে না। ফলে অন্যের বাড়িতে গিয়ে রাত কাটাতে হয়। এছাড়া শীত মৌসুম আসলে ঠাণ্ডার প্রকোপে দিনাতিপাত করতে হয়। জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময় ঘর বরাদ্দের আশ্বাস দিলেও ভাগ্যে জোটেনি তা।

এ বিষয়ে রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, সোনা মেহেরকে সম্পর্কে আমি জানি। আগের তালিকায় উনার নাম ছিল না। যেহেতু আগের তালিকাটি প্রণয়ন করেছেন শিক্ষকরা। তাই আগামীতে নতুন করে ঘরের তালিকায় সোনা মেহেরের নামটি রাখার কথা বলা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে যে সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনরা ঘর পাচ্ছেন এই তালিকাগুলো অনেক আগের করা। তাই নতুন করে সোনা মেহেরের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।