ঘরভাড়া বকেয়া থাকায় আকবরশাহ এলাকায় তিন পরিবারকে বের করে দিল মালিক

ঘরভাড়া বকেয়া থাকায় আকবরশাহ এলাকায় তিন পরিবারকে বের করে দিল মালিক

নিজস্ব প্রতিবেদক ।। 

তিনটি পরিবারকে ঘর ভাড়া বকেয়া পড়ায় ঘর থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নগরীর আকবরশাহ থানার মালি পাড়া কৈবল্যধাম আশ্রম গেটে মনি ভূইঞা কলোনির মালিকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন মুজাহিদ, নিখিল ও তপন নামের তিন ভাড়াটিয়া।

ভাড়াটিয়াদের অভিযোগ- তাঁরা দিন মজুর। কলোনীর সেমিপাকা ঘরে ভাড়া থাকতেন। কোন ঘরের ভাড়া তিন হাজার। কোন ঘরের ভাড়া সাড়ে তিন হাজার টাকা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে দুই মাসের ঘর ভাড়া বকেয়া পড়ায় জমিদার তাদের তিন পরিবারকে বের করে দিয়েছেন। বেশ কয়জন শিশু ও একজন গর্ভবতী নারীসহ সবাইকে এখন খোলা আকাশের নিচে থাকতে হচ্ছে জানিয়ে ভাড়াটিয়া নিখিল দাশ বলেন, গত ৩১ আগস্ট সন্ধ্যায় আমাদের বের করে দেয়া হয়। পরদিন এ নিয়ে আকবরশাহ থানায় আমরা অভিযোগ করি। পুলিশ এসে বলে গেলেও জমিদার কর্ণপাত করেনি। এখন ৫ দিন ধরে আমরা মন্দিরের সামনে থাকছি। এ বিষয়ে জানতে মনি ভূঁইয়া কলোনীর মালিক স্বপ্না বেগমের মোবাইলে ফোন দিলে তার মেয়ে ফোন ধরেন। স্বপ্না বেগমের মেয়ে দাবি করেন- ২ মাসের ভাড়া বকেয়ার যে কথা তারা বলছে, তা ঠিক নয়। তাদের ৫/৬ মাস করে ভাড়া বকেয়া। এছাড়া করোনার সময়ও ঠিক মতো ভাড়া দেয়নি। কেউ একশো টাকা, কেউ দুশো টাকাও দিয়েছে। আমরা কিছু বলিনি। তাছাড়া ভাড়াটিয়া হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র চাইলে তাও তারা দিতে পারেনি।

পুলিশ আসার কথা স্বীকার করে মালিকের মেয়ে বলেন, পুলিশ আসছিলেন। কিন্তু তাদের কাছে তো আমরা জাতীয় পরিচয়পত্র চাইলেও পাচ্ছিনা। তাদের কিভাবে ঘরে রাখবো। আর এক নারীর গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টিও ঠিক নয় বলেও দাবি করেন তিনি।