ত্রান নিয়ে চলছে নয়-ছয়, সীতাকুন্ডে ত্রান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দারিদ্র জনগোষ্টি

ত্রান নিয়ে চলছে নয়-ছয়, সীতাকুন্ডে ত্রান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দারিদ্র জনগোষ্টি
ত্রান নিয়ে চলছে নয়-ছয়, সীতাকুন্ডে ত্রান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দারিদ্র জনগোষ্টি

নাাছির উদ্দিন শিবলু ,নিজস্ব প্রতিবেদক, সীতাকুন্ড ।।

সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করেনা ভাইরাস (কভিট-১৯) মহামারী আকার ধারন করেছে। দিন দিন বাড়ছে রোগী সনাক্তের পাশাপাশী মৃত্যুর মিছিল। আর দেশের অন্যন্য উপজেলার ন্যায় সীতাকুন্ডেও ধরা পড়েছে দুইজন কভিট-১৯ আক্রান্ত রোগী। সে সাথে লক ডাউন করা হয়েছে রোগীর বাসস্থানসহ আশাপাশের বাড়ি-ঘর। এ অবস্থায় করোনা ভাইরাসের সংক্রামন হতে জনগনকে রক্ষায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠা ও সরকারী-বেসরকারী বহু অফিস- আদালত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া জনগনকে ঘরে রাখতে নির্দেশনার সাথে নেয়া হচ্ছে আইনি ব্যবস্থা। ফলে আয় রোজগার বন্ধ হয়ে চরম বিপাকে পড়েছে কর্মজীবি খেটে খাওয়া সাধারন মানুষ। যে কারনে অসহায় মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে চলছে সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে ত্রান তৎপরতা। কিন্তু দেশব্যাপী ত্রান তৎপরতা চলতে থাকলেও ত্রান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নিন্ম ভিত্ত মানুষ। এতে করে ক্ষুধার যন্ত্রনায় কাতর হয়ে পড়া জনগনের মাঝে দেখা দিয়েছে চাপা ক্ষোভ ও বিক্ষোভ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সীতাকুন্ড উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ত্রান বিতরন করেছে ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয়ের অধীনে উপজেলা প্রশাসন। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাধ্যমে বিতরন করা হয় ত্রান সামগ্রী। আর এই ত্রান গুলো খেটে খাওয়া, দিন মজুর, পরিবহন শ্রমিকদের বিতরনের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু  নির্দেশনা না মেনে দলীয় ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে চেয়ারম্যান-মেম্বাররা ত্রান বিতরন করে চলছেন বলে জানান বিভিন্ন এলাকার অসহায় দরিদ্র মানুষরা।

এ অবস্থায় র্দীঘদিন ধরে ত্রানের অভাবে মানবেতর জীবন পার করছে মুরাদপুর ইউনিয়নের পূর্ব মুরাদপুর গ্রামে একাধিক টেক্সি-রিক্সা চালক, নির্মাণ শ্রমিক, রঙ-কাঠ মিস্ত্রি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ খেটে খাওয়া বহু পরিবার। অনাহারে অধ্যাহারে থাকতে থাকতে অসহায় মানুষগুলোর মাঝে সঞ্চার হচ্ছে ক্ষোভ ও ঘৃনা।

তারা বলেন,‘ দেশের করুন অবস্থায় বন্ধ হয়ে পড়েছে কাজ-আয়। দৈনিক আয় বন্ধ হওয়ায় অর্থভাবে কাটাচ্ছে সময়। সরকার ত্রান দিচ্ছে শুনতেছি  কিন্তু কখনও চোখে দেখি না। ত্রান নিয়ে নয়-ছয়, দলীয়করন ও স্বজনপ্রীতি চলতে থাকায় যারা ত্রান পাওয়া যোগ্য তারা পাচ্ছে না বলে জানান বিভিন্ন এলাকার লোকজন। ত্রান নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের রাজনীতি ও স্বজনপ্রীতি চলতে থাকায় বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা ব্যারিকেট দিয়ে বিক্ষোভ পদর্শন করেছে দরিদ্র জনগোষ্টি। এছাড়া ত্রানের আশায় প্রতিদিন উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে ধরন্য দিচ্ছে শত শত শ্রমিক-কৃষক, দিন মজুর। অথচ দরিদ্র জনগোষ্টির মাঝে বিতরনে উপজেলা প্রশাসনকে কয়েক হাজার পরিবারের জন্য ত্রান দিয়েছেন বিভিন্ন শিল্প মালিক ও ব্যবসায়ীরা। এরপরও ত্রানের অভাবে হাহাকার করছে খেটে খাওয়া দিন মজুর ও শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন,‘ সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে প্রাপ্ত ত্রান সমূহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরন করা হয়েছে। যারা ত্রান থেকে বঞ্চিত হয়েছে তারা চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করতে পারে বলে জানান তিনি।