সীতাকুণ্ডে অস্ত্রসহ ১০ ডাকাত গ্রেপ্তার

সীতাকুণ্ডে অস্ত্রসহ ১০ ডাকাত গ্রেপ্তার
সীতাকুণ্ডে অস্ত্রসহ ১০ ডাকাত গ্রেপ্তার

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।। 

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সক্রিয় ডাকাত দলের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব । এ সময় তাদের হাতে থাকা দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি এবং ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরীর ফৌজদারহাট কালুশাহ মাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন - বাঁশখালীর বাড়িগ্রামের মৃত ওসমান আলীর ছেলে নুরে আলম প্রকাম নুরু (২৬), বাহারছড়া গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে মো. মামুন (২২), আনোয়ারার মধ্যম বারখাইনের শীতল মজুমদারের ছেলে রিমন মজুমদার (২২), বন্দর থানার আনন্দ বাজার গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. বাদশা (২৮), কলশি বড়পুলের মো. লোকমানের ছেলে মো. রাকিব (২৬), হালিশহরের সুন্দরীপাড়ার আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. শামীম (২৬), সীতাকুণ্ডের পাক্কারমাথা গ্রামের নুরন্নবীর ছেলে মোর্শেদ খান প্রকাশ হৃদয় (২৪), নোয়াখালীর সুধারামের উত্তর মাছিমপুর গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে মো. হায়দার আলী (২৬), চাটখিলের বাংশা গ্রামের মো. ইব্রাহিমের ছেলে মো. শাহাদৎ (২৫) ও বাগেরহাট মোড়লগঞ্জের মো. শমসের আলম মো. রবিউল প্রকাশ রুবেল (২৪)।

র‌্যাব জানায়, ডাকাত দলটি হাইওয়ে ডাকাতির সাথে জড়িত। এ দলের বেশিরভাগ সদস্যই চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা এবং জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় ডাকাতি করতে জড়ো হয়েছিল। তারা সবাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি করার জন্য কালু শাহ মাজার সার্কেলের পাশে ন্যানো ফ্যাক্টরি কর্পোরেশনের কাছে অপেক্ষারত ছিল। তারা বর্ণিত স্থানে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের চলাচলের স্থানে পথচারীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মূল্যবান জিনিসপত্র, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা-পয়সা ছিনতাই বা ডাকাতি করে থাকে বলে স্বীকার করেছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতরা র‍্যাবকে জানায়, ডাকাত দলের সদস্যরা সেডান/মাইক্রোবাসের মতো যানবাহন থামিয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা করছিল। তারা আকস্মিক আক্রমণ করে যত দ্রুত সম্ভব সবকিছু ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে।

জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাত দলের নেতা জানায়, রমজান মাস এবং ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে সাধারণ মানুষ প্রায়ই মোটা অংকের টাকা নিয়ে চলাচল করে, বিশেষ করে যারা ব্যক্তিগত গাড়িতে যাতায়াত করে তারা ডাকাত দলের মূল টার্গেট। এছাড়াও তাদের কাছে সীতাকুণ্ড এলাকার এক ব্যবসায়ীরও ব্যবসাস্থল থেকে নগদ টাকাসহ গমনাগমনের তথ্য ছিল, যিনি বায়েজিদ লিংক রোড ব্যবহার করে শহরে যাওয়ার কথা। তারা বিভিন্নভাবে ও সময়ে স্থান পরিবর্তন করে ওই ব্যবসায়ীসহ ২-৩টি হাইওয়েতে ডাকাতি করার পরিকল্পনা করেছিল।

র‍্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানান, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের ৪ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় বিভিন্ন ধারায় ফৌজদারি মামলা পাওয়া যায়। তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;