সীতাকুণ্ড আ. লীগের সম্মেলন পন্ড: সিলেকশনে বাকের সভাপতি, মামুন সা. সম্পাদক, সংঘর্ষে ১৮ জন আহত

সীতাকুণ্ড আ. লীগের সম্মেলন পন্ড: সিলেকশনে বাকের সভাপতি, মামুন সা. সম্পাদক, সংঘর্ষে ১৮ জন  আহত

পোস্টকার্ড ( সীতাকুণ্ড) প্রতিনিধি ।।

শুক্রবার দুপুুর আড়াইটা দিকে সীতাকুণ্ড উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সন্মেলনে চেয়ার দখলকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সকাল থেকে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সীতাকুণ্ডে উত্তেজনা বিরাজ করছিল । আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রনে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

সীতাকুণ্ড থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ আলম মোল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, সম্মেলন শুরুর পর সামনে বসাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কর্মীরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে চেয়ার মারামারি করে । পুলিশ পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে সামাল দেয়। কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এদিকে সম্মেলন শুরুর পর উভয় পক্ষের নেতাকর্মীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শুরুতে সভাপতি প্রার্থী আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া সমর্থিত লোকজন স্লোগান দিয়ে সভাস্থলে এসে ভীড় জমান।

এসময় তারা নিজ নেতাকে সভাপতি হিসাবে পেতে স্লোগানের পাশাপাশি সভাস্থল দখল করে নেন। এ ঘটনার কিছুক্ষন পর উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুনের অনুসারী নেতাকর্মীরা সভাস্থলে এসে জড়ো হওয়ার পাশাপশি পাল্টা দখলের চেষ্টা চালায়।

এসময় উভয়পক্ষের উত্তেজিত নেতাকর্মীরা সভাস্থলে লাগানো ব্যানার, পেস্টুন ছিড়তে থাকে। এক পর্যায়ে সভাপতি প্রার্থী বাঁকের ভূইয়ার অনুসারী নেতাকর্মীর সাথে অপর সভাপতি প্রার্থী এস এম আল মামুনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তাছাড়া উত্তেজিত নেতাকর্মীরা সভাস্থলের শতাধিক চেয়ার ভাঙচুর করেন এবং উভয় পক্ষের হামলায় ১৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এসময় চেয়ার দখলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে কর্মীরা। এতে ব্যাপক চেয়ার ভাঙ্গা হয়।

উক্ত সন্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপি। সম্মেলন উদ্ভোধন করেন রাউজানের সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড ৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম।

সম্মেলন শুরুর ২০ মিনিটের মাথায় সংঘর্ষের কারণে পন্ড হয়ে যাওয়ার পর ৩ জন সভাপতি পদ প্রার্থী ও ৩ জন সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থীদের নিয়ে সমঝোতায় বসেন অতিথিরা। এতে আবদুলল্লাহ আল বাকের ভূইয়াকে সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আল মামুনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয় ।

সংঘর্ষের ব্যাপারে একাধিক নেতার সাথে কথা বলতে চাইলে ,স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা কেউ কথা বলতে রাজি হন নি।