সীতাকুণ্ডে ট্রাকের ধাক্কায় ভাঙল ফুটওভার ব্রিজ, ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার 

বিশেষ প্রতিবেদক ।।

সীতাকুণ্ডের সােনাইছড়ি ইউনিয়নের ঘােড়ামরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের ফুটওভার ব্রিজটি রড তৈরির কারখানার (রোলিং মিলের) ডাম্প ট্রাকের ধাক্কায় ভেঙে গেছে। এরপর সেটি হঠাৎ খুলে ফেলা হয়। এখন সড়কের দু'পাশে সিড়ি থাকলেও ব্রিজ না থাকায় অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পার হচ্ছে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীসহ নানান বয়সী মানুষ। ফলে যেকোন সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে শিশু শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনগণ। আর তাই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহলও।

স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনায় পথচারী-সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে তাঁরা ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পারাপার হচ্ছেন। কখনো হেঁটে আবার কখনো দৌড়ে সড়ক পারাপার হতে হচ্ছে তাঁদের। দুর্ঘটনার সাত দিন পেরিয়ে গেলেও ভেঙে পড়া পদচারী-সেতুটি মেরামতের কাজ শুরু হয়নি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তাঁরা। 

স্থানীয়রা আরো জানান, উপজেলাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সােনাইছড়িতে অবস্থিত ঘােড়ামরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি একেবারেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে লাগােয়া । ফলে সড়কের উভয় পাশের শিশু শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হতাে। এতে প্রায়ই ঘটতো দুর্ঘটনা। এক পর্যায়ে ফুটওভার ব্রিজ দাবিতে জোরালাে আন্দোলন শুরু করেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এতে যােগ দেয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও। সার্বিক বিবেচনায় এখানে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণও করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। এরপর থেকে শিশু শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ এই সেত ব্যবহার করে মহাসড়ক পারাপার করতেন। ফলে দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমে গিয়েছিল। এদিকে, গত মঙ্গলবার মহাসড়ক হয়ে যাবার সময় একটি রি - রােলিং মিলের পণ্যবাহী গাড়ির ধাক্কা লাগে ওই ব্রিজটিতে। এতে ব্রিজটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ভেঙে গেলে সেটি খুলে নিয়ে যায় সংশ্লিষ্টরা। ফলে মহাসড়কের দু'পাশে দুটি সিঁড়ি দাঁড়িয়ে থাকলেও ওই সিড়ির শেষাংশে সেতু না থাকায় সবাইকে আবারাে ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পারাপার হতে হচ্ছে।

সড়ক ও জনপদ বিভাগের সীতাকুণ্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেদ চৌধুরী বলেন, দুর্ঘটনার পর জড়িত কারখানা কর্তৃপক্ষ মেরামতের জন্য ১০ দিনের সময় চেয়ে আবেদন করেছেন।

সেতুটির বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, সেতুটি দ্রুত সংস্কারের চেষ্টা করছি।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;