সীতাকুন্ডে চালু হলো অনলাইনে বেচা-কেনা, পৌরসদরের মার্কেটগুলোতে হোম ডেলিভারীর ধুম

সীতাকুন্ডে চালু হলো অনলাইনে বেচা-কেনা, পৌরসদরের মার্কেটগুলোতে হোম ডেলিভারীর ধুম

নাছির উদ্দিন শিবলু , বিশেষ প্রতিবেদক , পোস্টকার্ডবিডি.কম ।।

১০ মে হতে বিপনি বিতানগুলো খোলার সরকারী সিদ্ধান্ত হলেও সীতাকুন্ডে চলছে তার উল্টো চিত্র। যখনি বিপনি বিতানগুলো খুলবে ঠিক একদিন পূর্বে দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন পৌরসদর দোকান মালিক সমিতি। আর এ সিদ্ধান্তের পর থেকে ব্যবসায়ীদের মাঝে দেখা দেয় হতাশা। এরপরও জনগন ও দেশের মঙ্গল কামনায় বিপনি বিতান বন্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান ব্যবসায়ীরা। সে সাথে ব্যবসাকে সচল রাখতে এবং গ্রাহকের সেবা প্রদানের অনলাইন ভিত্তিক মার্কেটিংয়ের কৌশল অবলম্বন করেন। এ ধরনের অনলাইন মার্কেটিং এ উৎফুল্ল ব্যবসায়ী ও সেবা গ্রহিতারা।

ব্যবসায়ীরা বলেন,‘ দেশের নাজুক পরিস্থিতিতে ঈদের ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তের মধ্যে বন্ধ রাখতে হচ্ছে ব্যবসা। দীর্ঘদিন ব্যবসা বন্ধ থাকায় অভাব লেগেছে পরিবারে। কিন্তু মহামারী হতে বাচতে বন্ধ রাখতে হয়েছে প্রতিষ্ঠান। তবে প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও গ্রাহকের চাহিদা তো রয়েছে। তাই গ্রাহকের চাহিদা পূরনের কথা বিবেচনা করে অনলাইন ভিক্তিক পরিচালিত হচ্ছে বেচা-কেনা। ফেইজবুক পেইজে প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে মোবাইলের মাধ্যমে পন্য অর্ডার নিয়ে বাড়িতে বাড়িতে ডেলিভারী প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান তারা।

প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা পরিচালনা করায় চাহিদা মিটাতে পারছে গ্রাহকরা। একেবারে ঝুঁকিমুক্ত থেকে হাতের কাছে পন্য কেনার সুবিধা পাওয়ায় খুবই আনন্দিত ক্রেতারা।

পন্য ক্রেতা কোহিনুর আক্তার বলেন,‘ মার্কেটগুলো বন্ধ থাকায় প্রয়োজনীয় কাপড় কেনা দুসাধ্য হয়ে পড়েছিল। এখন তেমন কেনো সমস্যা পোহাতে হচ্ছে না। যখনি চাচ্ছি, তখনি অল্প সময়ের মধ্যে হাতের কাছে পেয়ে যাচ্ছি চাহিদা মোতাবেক পন্য। অনলাইন ভিত্তিক মার্কেটিংয়ের ফলে কমেছে যাতায়াত খরচ ও সময়। এ পদ্বতি অব্যাহত থাকলে প্রয়োজনও মেটানোর সাথে সুস্থ থাকবে দেশ ও পরিবার।

এ বিষয়ে পৌরসদর দোকান মালিক সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম বাহার বলেন,‘ ব্যবসায়ীরা আমাদের আপনজন বলে দোকানদার ও মালিকদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত হাতে নেয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যবসা পরিচালনা ক্ষেত্রে নতুন পন্থা অবলম্বন করছে ব্যবসায়ীরা। অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা চালু হওয়ায় গ্রাহক সেবা পাচ্ছে সর্বসাধারন। ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবসা চালু হওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় লাভবান হবেন বলে জানান তিনি।