৪ বছর ধরে শূন্য সীতাকুন্ড উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদ, ভেঙে পড়ছে মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য সেবা

৪ বছর ধরে শূন্য সীতাকুন্ড উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদ, ভেঙে পড়ছে মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য সেবা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সীতাকুন্ড ।।

মা ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করছে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা দপ্তর। মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্য সেবা থেকে মা ও শিশুদের সমস্যা চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করনে পরিবার-পরিকল্পনার দপ্তরের গুরুত্ব অপরিসিম। আর এ দপ্তরের মাধ্যমে জনগনের দুর গোড়ায় পৌছে যাচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা। কিন্তু ঘরে ঘরে স্বাস্থ্য সেবা পৌছলেও দীর্ঘ ৪ বছর সীতাকুন্ড উপজেলা কর্মকর্তার পদটি শূন্য থাকায় ব্যাঘাত ঘটতে শুরু করেছে মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা। এ অবস্থায় গ্রাম-গঞ্চে রোগ-বালায় বেড়ে গিয়ে চরমভাবে স্ব্স্থ্যা হানির কবলে পড়েছে সাধারন মানুষ।

উপজেলা ১০টি ইউনিয়নে ১০ জনের স্থলে ৯ জন ইউনিয়ন পরিদর্শক ও ৬২ জনের স্থলে ৪৬ জন মাঠ কর্মীদের তত্ত্ববধানে গ্রামে-গঞ্জে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবায় কাজ করছে পরিবার-পরিকল্পপনা দপ্তর। উপজেলা পর্যায়ে ক্লিনিক্যাল ও নন ক্লিনিক্যাল সেবা প্রদানের মাধ্যমে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবায় মাঠ-পর্যায়ে কাজ করছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কিন্তু দীর্ঘ ৪ বছর ধরে কর্মকর্তার না থাকায় নিয়মাফিক স্বাস্থ্য সেবায় দেখা দিয়েছে গড়মিল। এতে করে স্বাস্থ্য সেবা বঞ্চিত হয়ে রোগাক্রান্ত হয়ে স্ব্স্থ্যাহানিতে পড়েছে সাধারন মানুষ। বদলি জনিত কারনে উপজেলা কর্মকর্তার পদটি শূন্য হওয়ায় সেবা খাতে সৃষ্টি হয়েছে নাজুক পরিস্থিতি। ফলে তদারকির অভাবে অধীনস্ত কর্মকর্তারা কর্তব্য কাজে দায়ীত্বে অবহেলা করায় মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য সেবা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয়রা বলেন,‘ টিকা প্রদান ব্যতীত বছরে এক দিনের জন্যেও চোখে মেলে না পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের। গর্ভবতি মা ও শিশুদের সমস্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর উপর নির্ভও হতে হচ্ছে। সময়পযোগী পরামর্শ না পেয়ে নানা বিড়ম্বনায় শিকার হতে হয় কিশোরী স্বাস্থ্য সেবায়। এছাড়া নিয়মাফিক চিকিৎসা না পেয়ে গর্ভবর্তী মায়েরা দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রায় মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়ছে বলে জানান ভোক্তভোগী লোকজন।

এদিকে, মুরাদপুর ও সৈয়দপুর ইউনিয়নে পরিবার পরিকল্পনার ইউনিয়ন পরিদর্শকের দুটি পদ শূন্য থাকায় এলাকা জুড়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌচেছে শূন্যের কৌটা। দুই এলাকাতে একজন পরিদর্শক দায়ীত্বে নিয়োজিত থাকার কারনে একটিরও সেবা নিশ্চিত হচ্ছে না। ফলে স্বাস্থ্য সেবায় চরম দুর্দশা বিরাজ করছে এলাকাগুলোতে। এরপরও যথা নিয়মে দায়ীত্ব পালনের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে জানান ইউনিয়ন পরিদর্শক মো. আলতাফ।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক উখ্যে উইন বলেন,‘ কর্মকর্তাও পদ শূন্য থাকায় কাজের ক্ষেত্রে কিছুটা স্থবিরতা রয়েছে। কর্মকর্তা নিয়োগ পেলে সব সমস্যার সমাধার হবে বলে জানান তিনি।