অসংখ্য গর্তে ভরা সীতাকুণ্ড রেল স্টেশন সড়ক

অসংখ্য গর্তে ভরা সীতাকুণ্ড রেল স্টেশন সড়ক
অসংখ্য গর্তে ভরা সীতাকুণ্ড রেল স্টেশন সড়ক

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ।। 

সীতাকুণ্ড পৌরসভার রেল স্টেশন সড়ক। পৌরসদরের কলেজ রোড হয়ে বটতলা কালী মন্দির থেকে স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৪০০ মিটার এই সড়কের বেহাল দশা গেল ১৫-১৬ বছর ধরে। সড়কজুড়ে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। পিচ উঠে গিয়ে ইট-সুরকি পর্যন্ত নেই। গাড়ি চলে হেলে-দুলে। পায়ে হেঁটে চলাচল সম্ভব নয়। যানবাহন যেতে চায় না লক্কর-ঝক্কর সড়কটি দিয়ে। কিছু স্থানে গাড়ি থেকে নেমে ওই অংশ পার হতে হয় যাত্রীদের। স্টেশনে ট্রেন ধরতে প্রতিদিন এই সড়কে সহস্রাধিক মানুষ যাতায়াত করে। এ নিয়ে চলাচলকারীদের আর অভিযোগ নয়, দানা বাঁধছে ক্ষোভের। সড়কটির মালিক বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রয়োজন না থাকায় রেল কর্তৃপক্ষ সড়কটি সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছে বহু বছর আগে। রেলের সড়ক এই অজুহাতে পৌরসভা কর্তৃপক্ষও দায়িত্ব নিতে পিছিয়ে যাচ্ছে। স্টেশন সড়ক এলাকার বাসিন্দা মো. ইমাম হোসেন বলেন, সড়কটি নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। যত ভোগান্তি চলাচলকারীদের। অথচ এই সড়ক দিয়ে দুটি কেজি স্কুলসহ ট্রেন যাত্রীরা স্টেশনে আসা-যাওয়া করে। বিষয়টি নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় কাউন্সিলরকে একাধিকবার সড়কটি মেরামত করার অনুরোধ জানানো হলেও মেলেনি কোনো সাড়া।

রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদের ইমাম আতিকুল ইসলাম বলেন, সড়কটির দুর্দশা ও বেহাল অবস্থার কারণে সমস্যায় পড়তে হয় নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের। একাধিকবার সড়কটি মেরামত করার অনুরোধ জানানো হলেও মেলেনি কোনো সাড়া।

এ প্রসঙ্গে সীতাকুণ্ড স্টেশন মাস্টার মতিলাল বড়ুয়া জানান, একসময় ট্রেনের পাটবাহী বগি থেকে মালামাল লোড করে ওই সড়ক দিয়ে স্টেশন থেকে বিভিন্ন মিলে নিয়ে যেত। এখন সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া ট্রেনের নিয়মিত যাত্রী সাধারণ স্টেশন প্লাটফর্মে যেতে ভিন্ন পথ অবলম্বন করায় স্টেশন সড়কটির প্রয়োজন অনেকটা কমে গেছে। যার কারণে রেল কর্তৃপক্ষের সড়কটি সংস্কারে মাথাব্যাথা নেই। তবে রাস্তাটি সংস্কারের করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

সীতাকুণ্ড পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব বদিউল আলম বলেন, সড়কটি পৌরসভার হলে এতো অবহেলায় পড়ে থাকতো না। রেলওয়ে জায়গার ওপর সড়কটি সংস্কারে জটিলতার সৃষ্টি করে।