স্বাস্থ্যবীধি মেনে সীতাকুন্ডে বসবে কোরবানীর পশুর হাট, ক্রেতা সংকটের আশংকা

স্বাস্থ্যবীধি মেনে সীতাকুন্ডে বসবে কোরবানীর পশুর হাট, ক্রেতা সংকটের আশংকা
স্বাস্থ্যবীধি মেনে সীতাকুন্ডে বসবে কোরবানীর পশুর হাট, ক্রেতা সংকটের আশংকা

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।। 

দেশের অন্যান্য উপজেলার ন্যায় সীতাকুন্ড উপজেলাতে পশু মজুদ ও বিক্রির স্থান নির্ধারনে হাট ইজারার কাজ শেষ করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ বছর স্বাস্থ্য বিধি রক্ষায় হাট সীমিত পরিসরে প্রদান করা হয়েছে হাট ইজারা। এছাড়া করোনা পর্দুভাবে কোরবানীর পরিমান কম হওয়ার আশংকার কমতি নেই বিক্রেতাদের। 

উপজেলা প্রশাসন পৌরসভা যেসব হাট ইজারা দিয়েছে তা হল - পৌরসভার মন্থর হাট, ফকির হাট, বাড়বকুন্ড স্কুল মাঠ হাট, শেখের হাট, ভূইয়ার হাট, বড়দারগার হাট, ছোটদারগার হাট,মদন হাট, ভাটিয়ারী স্কুল মাঠ, ফৌজদারহাট কে এম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ।

এদিকে, মজুদকৃত এবং স্থানীয় পালিত পশু ব্যবসায় মন্দাভাবের আশংকায় রয়েছেন ব্যবসায়ী ও কৃষকরা। করোনা মহামারীতে দেশের অর্থনীতির অবস্থা নাজুক হয়ে পড়ায় চিন্তার অন্যতম কারন। এরপরও হাল ছেড়ে না দিয়ে কোরবানী ব্যবসায় মুনাফা ঘরে তুলতে পশু মজুদ ও পালনে ব্যস্ত সময় পার করছে সকলে। 

ব্যবসায়ীরা বলেন,‘ অর্থনৈতিক মন্দদশায় বেচা-কেনায় দেখা দিতে পারে মন্দাভাব। সামাজিক দুরত্ব বজায়ে অধিকাংশ ক্রেতা ঝুকবে স্থানীয় পশু ক্রয়ে। ফলে বাজারে ক্রেতা সংকট দেখা দিয়ে লোকসান গুনার আশংকায় শংকিত। এরপরও দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায় জড়িত থাকায় সকল চিন্তাকে মাথায় রেখে কোরবানীর পশু মজুদ করছি বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

আবার কোরবানীকে কেন্দ্র করে পশু তাজা করনে কঠোর খাটুনিতে পশু পালন করেছে অনেক কৃষক। প্রতি বছরের নেয় এবারও পালিত গরু বিক্রি করে সংসারের অভাব গুছাতে চেয়েছে অনেক কৃষক। কিন্তু করোনা মহামারীর ২য় ঢেউ পশু পালনের খরচ তুলতে হিমশিম খাবে বলে জানান কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন,‘ কোরবানীকে ঘিরে পুরো বছর পশুর পেছনে খরচের সাথে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। পশু খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির ফলে খরচের পরিমান যাওয়ায় পুঁজি তোলা মুশকিল হবে। মহামারী না হলে পশু বিক্রিতে ভাল মুল্য পাওয়া যেত বলে জানান তিনি। 

এছাড়া কোরবানীর হাটে বিক্রির নিয়ে ইজারাদারদের মাঝেও বিরাজ করছে আশংকা। ফকির হাট বাজারের ইজারাদার শফি বলেন,‘ করোনা পরিস্থিতিতে সবাইকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে বেচা-কেনা করতে হবে। তাই এ ঝামেলা থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখতে হাটে ক্রেতার সংখ্যা কমার পাশাপাশী কমে যাবে বেচা-কেনা। তাই ক্রেতাশূন্য হাটে ইজারা মূল্য তোলে আনা অসম্ভব হয়ে উঠবে বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে, বাজার ইজারাকালে স্বাস্থ্য বিধি মানার উপর জোর দিয়েছেন তাগিদ দিয়েছেন প্রশাসন। এ সময় হাটের ইজারাদার ও ক্রেতা-বিক্রেতাকে মাক্স, হেন্ডগ্লাভস, হেন্ড সেনিটাইজার ব্যবহারের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন।